“আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে” সাংবাদিক সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম হিরণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হিরণ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবী করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, মনির হোসেন মুকুল নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে জিডি করেই নিরুদ্দেশ হন। এ নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব তার কাছে ফোন করে মুকুলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। মুকুল নিরুদ্দেশ হওয়ার পেছনে তার সম্পৃক্ততার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রমানের চেষ্টা চালায় একটি মহল। কিন্তু প্রশাসনের সহায়তায় সে ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে হিরণ বলেন, জেলা কমিটি তেকে সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে তিনি পদ্মাকর ও হরিশংকরপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সম্মেলন করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। সেই সুবাদে সদর উপজেলার মাওলানাবাদ স্কুল মাঠে বর্ধিত সভা ডাকেন। কিন্তু সভা বানচাল করতে যুবলীগের ব্যানারে পাল্টা সমাবেশ আহবান করার কারণে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারী কনরা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে হিরণ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষককে প্ররোচিত করে স্কুলের সভাপতি মনির হোসেন মুকুল প্রশাসনের কাছে লিখিত দিয়ে ১৪৪ ধারা জারী করায়। এ ঘটনা নিয়ে তিনি মনির হোসেন মুকুলকে জিজ্ঞাসা করলে মুকুল উল্টো তাকে অসলগ্ন কথাবার্ত বলেন।

পরবর্তীতে মনির হোসেন মুকুল এই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় আমার নামে জিডি করে নিরুদ্দেশ হয়। প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলতে থাকে। অবশেষে মনির হোসেন মুকুল কালীগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বলে লোকমুখে জানতে পারি। হিরণ বলেন, আমি সারা জীবন ন্যায় বিচার ও সত্যের পক্ষে কাজ করেছি। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মুকুল নিরুদ্দেশের ঘটনার সাথে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো, কিন্তু আমি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার কারণে কোন ষড়যন্ত্রই আমার চলার পথকে রুদ্ধ করতে পারবে না।

সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম সারোয়ার সউদ, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, শ্রমিকলীগের একরামুল হক লিকু, জেলা আওয়ামীলীগের অশোক ধর, সারোয়ার জাহান বাদশা, আসাদুজ্জামান আসাদ, ইবির সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ উপস্থিত ছিলেন।