দিনাজপুরে রেলস্টেশন চত্ত্বরে সন্ত্রাসীদের রাজত্ব

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ  দিনাজপুর রেল স্টেশন ও আশে পাশের এলাকায় আবারো শুরু হয়েছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং ছিনতাই। জিআরপি পুলিশের সাহায্যে সামাজিক অপরাধকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  দুর দুরান্ত থেকে আসা রেল যাত্রীদের ভয়ভীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রকাশ্য দিবালকে ছিনতাই করলেও এগিয়ে আসে না কেউ। আর এই অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করে থাকে রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত গর্ভমেন্টের রেলওয়ে পুলিশ বা জি আর পি। এই জিআরপি পুলিশের কারনে স্টেশন চত্তরে দেহ ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও নানা সামাজিক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘরে থাকে।

আশে পাশে এলাকার সন্ত্রাসী যুবকদের নিয়ে জিআরপি গরে তুলেছে তাদের সন্ত্রাস বাহিনী।  টিকেট কালোবাজারীদের সহয়তা করে। এরা সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মানুষ, মেম্বার চেয়ারম্যান, নেতা, প্রফেসর, ডাক্তার ও সাংবাদিকদেরও রেহাই দেয়া না। কিছুদিন পূর্বে যমুনা টিভির এক পদস্থত কর্মকর্তাকে নাজেহাল করায় এক জিআরপি পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোস করা হয়েছে। আর যারা প্রতিবাদ করতে পারে না। তাদের টাকা পয়সা সহ মান সম্মান সবই খোয়াতে হয়। এই অপর্কমের ঘটনা পূর্বে স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ হলেও তা খতিয়ে দেখিনি রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে দিনদিন তা না কমে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ডিবি পুলিশ, পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের ভূয়া পরিচয় দিয়ে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষদের স্টেশন কিংবা আসে পাশের আটকিয়ে ধমকের সুরে প্রশ্ন করা হয়। দেখানো হয় নানা ভয়ভীতি। যেমন আপনার নামে অভিযোগ রয়েছে, আপনাকে থানায় যেতে হবে, আপনিতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য এভাবে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে রেল যাত্রীদের ব্যাগ, মোবাইল, টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনতাই করা হয়। ঘটনার সময় কেউ পাশে দাড়াঁলে তাকে ধমকের দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়। ভুক্তভোগিরা সর্বস্ব হারিয়ে চোখের জ্বল মুছে অভিশাপ দিয়ে চলে যান। ঝামেলা এড়াতে থানায় অভিযোগ করাকে শ্রেয় মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

আবার অনেকে ডায়েরী করতে সাহস পান না সন্ত্রসীদের ভয়ে। এসকল চিহ্নিত ছিনতাইকারী সন্ত্রসীদের প¬াটর্ফমসহ স্টেশন চত্তর ও আশে পাশের হোটেল চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়। মিশনরোড থেকে টিএন্ডটি মোড় হয়ে বাহাদুর বাজার মোড় পর্যন্ত এছিনতাইকারীরা রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তারা স্থানীয় চা-পানের দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় দেয় না। তবে তাদের মূল টার্গেট হলো রেল যাত্রী। দিনাজপুর রেল স্টেশন চত্তর ও আসে পাশের এলাকায় এই সব কর্মকান্ডের সাথে জরিত রয়েছে বেশির ভাগেই স্থানীয় যুবকরা।

এই চিহ্নিত সন্ত্রসী যুবকরা মাদকাসক্ত ও উশৃংখল প্রকৃতির। আবার কেউ কেউ সম্ভান্ত পরিবারের শিক্ষিত যুবক ও ক্ষমতা বান। দীর্ঘদিন থেকে দিনাজপুর রেল স্টেশন ও আসে পাশের এলাকায় এদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী মহল যারা এদের সহায়তা দান করে ও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেয়। এসব বিষয়ে সুষ্ঠতদন্ত করে  সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ আইনঅনুকব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশাবাদি এলাকাবসি ও ভুক্তভোগীরা।