দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হত্যাজনিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেননি। তার মৃত্যু হত্যাজনিত কারণে হয়েছে বলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি এবং দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সূত্রে এই তথ্য জানাগেছে।

আজ রবিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দিয়াজ হত্যাকান্ডের তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই রিপোর্ট হন্তান্তর করেছে।

দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম সিআইডির সিনিয়র এএসপি হুমায়ূন কবীর দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনার পর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।

এদিকে সিআইডি সুত্রে জানাগেছে- দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজ আত্মহত্যা করেন নি বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে দিয়াজের মৃত্যু ‘হত্যামূলক’।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর রবিবার রাতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকায় চার তলা ভবনের ভাড়াবাসার নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্তবস্থায় কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফানের লাশ পাওয়া যায়। ঐ রাত দেড়টায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের পরিবারে দাবী চবির টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হত্যার পর দিয়াজকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয় নি।

হত্যাকান্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে তা তার পরিবার মেনে নেয়নি। পরে ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে’র আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদলয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী দ্বিধাবিভক্ত ছাত্রলীগের একাশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে ক্যাম্পাসের একটি ৭০ লাখ টাকার টেন্ডার কাজকে ঘিরে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সাথে দিয়াজের বিরোধের সৃষ্টি হয়। দিয়াজ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ হত্যকান্ডের জন্য প্রতিপক্ষ নেতাকর্মী দায়ী করে আসছেন।