নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)’র অর্থায়নে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রকল্প (ওকাপ)’র উদ্দ্যোগে “ঝুকিপূর্ণ অভিবাসন ও সমুদ্রপথে মানব-পাচার” প্রতিরোধে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা বিআরডিবি কার্য্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবেদ টেক্সটাইল, নদী-বাংলা গ্রুপ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মন্জুর এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সেলিম রেজা, আইওএম’র ঢাকা কান্ট্রি অফিসের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ শাকিল মানসুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ওম্মে সালমা মায়া।
অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ)র প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এর উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যূরো’র কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, নিরক্ষতা ও সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশের মানুষ বৈধ পন্থাবলম্বন না করে অবৈধ পথে বিদেশ গমনে আগ্রহী হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী বিদেশেপাড়ী জমাতে বিপথগামী হয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের অভিবাসী আইন সচেতনতা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাসহ প্রকৃত কারিগরী দক্ষতা লাভে সক্ষম বিদেশগামীরা গৌন্তব্যে পৌঁছে উন্নতি লাভ করতে পারে। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে উপস্থিত সকলকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে বিদেশগামীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
“ঝুকিপূর্ণ অভিবাসন ও সমুদ্রপথে মানব-পাচার প্রতিরোধ” শীর্ষক সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদন সূত্রমতে, বিগত ২০১৪-২০১৫ সালে মায়ানমারের রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯৪ হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যেতে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর-পাড়ি দেয়ার ঝুকি নিয়ে প্রায় ১৫শত অভিবাসী সমুদ্রে মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যুবরণকারী অভিবাসীদের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড সীমান্তের আশ-পাশ এলাকায় প্রায় ২ হাজার অভিবাসীর গণ কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশের নরসিংদী ও নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী ভয়াবহ মানব পাচারের শিকার হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছেন।