পত্নীতলায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে অর্ধ লাখ মানুষ পানি বন্দি

পত্নীতলায়(নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়েছেন। এতে ওই এলাকার ২ হাজারের বেশি হেক্টর কৃষিজ ফসল ডুবে যায়। বাঁধ অব্যাহত ভাবে ভাঙন থাকায় ঘর-বাড়ি গুলো নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখে, স্থানীয় সুত্র ও ভুক্তভোগী পরিবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের কাশিপুর-শালিগ্রাম এলাকার নদীর পূর্ব পাশের একটি বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে ওই বাঁধের ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভয়াবহ রুপ ধারণ করে বন্যা পরিস্থিতি। যা নজিপুর-ধামাইরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত চলমান রয়েছে। পার্শ্ববর্তী ঘোষনগর ইউনিয়নের মাঠের ফসল ডুবে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বন্যায় উপজেলার পত্নীতলা ও কৃঞ্চপুর ইউনিয়নের অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।

এতে ওই এলাকার পানি বন্দি পরিবার বিভিন্ন সড়কের উপর ও উচুঁ স্থানে অস্থায়ী ভাবে পলিথিন ও টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে রাত্রি যাপন করছেন বানভাসি মানুষেরা। এতে দিন মজুর ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি পেশার আয়ের পরিবার গুলোতে বর্তমানে ঔষধ ও খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন।

স্থানীয়দের ধারণা, এ ভয়াবহ বাঁধ ভাঙনে নদীর পানির গতি বেগ চলমান ও বৃদ্ধি থাকলে আমাইড়, মাটিন্দর ইউনিয়ন ও নজিপুর পৌর এলাকাও প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নজিপুর, পাটিচরা, কৃঞ্চপুর ও পতœীতলা ইউনিয়নের মোট ২ হাজার ৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এর মধ্যে আমন ১৭শ ১৯ হেক্টর, আউশ ১শ ৬২ হেক্টর ও সবজি ১শ ২৮ হেক্টর ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, চলমান বন্যার পানি আগামী ২/৩ দিন মধ্যে নেমে গেলে ও বন্যা স্বাভাবিক থাকলে ফসল নষ্টের কবল হতে রক্ষা পাবে।

এমন অবস্থায় পতœীতলা উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে ইউএনও আব্দুল মালেক বন্যর্ত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী হিসেবে বিস্কুট, মুড়ি ও চিড়া বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছেন।