রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়াছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৪১২ নং কক্ষে হত্যাকান্ডের দশ বছর অতিবাহিত হওয়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে এই দাবি করেন তারা।

বিভাগের সভাপতি প্রফেসর খোন্দকার ইমামুল হকের সভাপতিত্বে এবং ড. ইউনুছ আহমদ খানের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন, প্রফেসর ড. মো. হামিদুুর রহমান, ড. এম হাবিবুর রহমান, ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মৃনাল কান্তি রায়, ড. সোহেল কবির, মো. আবদুল মালেক, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মু. শামসুল আলম প্রমুখ।
এর আগে বিভাগের সামনে থেকে শোক র‌্যালী বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে বিভাগের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আহসানুল কবির  শিক্ষক মিয়া মো. মহিউদ্দিন ও তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ২২ মে আদালত মিয়া মো. মহিউদ্দিন, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম ও নাজমুল ইসলামের মৃত্যুদ- দেন। অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য দুই আসামি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন আসামিরা।

পাঁচ বছর পর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল আপিলের রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রেখে অন্য দুজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামিদের দুজন খালাস পাওয়ায় এবং দুজনের সাজা কমানোয় তাহেরের পরিবারের পক্ষ থেকে আবার উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। যা এখন শুনানির অপেক্ষায় আছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে ভূতত্ব ও ক্ষণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. তাহের আহমেদ ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। দুইদিন পরে তার বাসার পিছনে সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।