স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না : অর্থমন্ত্রী

বিডিসংবাদ ডেস্কঃ  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়ির দখলে রয়েছে। এই বিড়ি আবার খুব নিম্নমানের। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না, সরকার এজন্য পলিসি গ্রহণ করছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সিগারেট কোম্পানির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।

বৈঠকে সিগারেট উৎপাদনকারী ১৩টি কারখানারর মালিক ও এমডিরা অংশ নেন।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো কোম্পানিসহ দেশের তামাক কোম্পানিগুলো বৈঠকে তাদের মতামত জানিয়েছে। আজকের বৈঠকটাই ছিল কোম্পানিগুলোর মতামত শোনা। পরে আমরা বসে তামাক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

কোম্পানিগুলো কী বলেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের সব ধরনের চাহিদার কথা জানিয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই আলোচনা হয়েছে। তারা আমার কাছে একটাই আবেদন করেছে, তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কমদামি সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। এগুলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে পলিসি নেয়া। এজন্য সরকার ডেফিনেটলি পলিসি গ্রহণ করবে।

এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ফলে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে চাহিদা কমলে তো রাজস্ব আয় একটু কমবেই।

বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সংসদ সদস্যদের থেকে চাপ আসে, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর আগে অনেক চিঠি পেয়েছিলাম। এবার দু’একটা পেয়েছি। সুতরাং বিড়ি বাংলাদেশে থাকবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিড়ি মালিকদের পক্ষ থেকে দেশে বড় বড় সিগারেট কোম্পানি এখন কম দামি সিগারেট উৎপাদন করছে। এতে করে তাদের বিড়ি ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখিন। কারণ প্রতিযোগিতায় তারা বড় বড় সিগারেট কোম্পানির সাথে পেরে উঠছে না। এ পরিস্থিতি সরকারের উচিত নীতি সহায়তা প্রদান করা। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিড়ি স্বাস্থ্যর জন্য ভালো না। এটির উৎপাদন বন্ধ হওয়া উচিত।