প্রায় প্রতিটি মানুষের একটি সুন্দর স্বপ্ন এবং লক্ষ্য থাকে। কিন্তু লক্ষ্যের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে হাজারো বাধা প্রতিবন্ধকতা। যে এসব প্রতিবন্ধকতা টপকে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। মানুষের জীবন মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যায়। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে জীবনে সফল হবার। কিন্তু নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করার সমস্ত যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে। । যারা নিজের এই ভাগ্যকে মানুষের কল্যানের জন্য পরিবর্তন করতে পেরেছে তাহারা পৃথিবীতে সফল মানুষ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
তেমনি একজন সফল মানুষ এবং সনামধন্য কাপড় ব্যবসায়ীর সাফল্যের কথা জানব।
তার ডাক নাম আহসান, পুরো নাম আহসান উল্লাহ। ব্রাজিল প্রবাসী একজন বাংলাদেশের নাগরিক । তিনি তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা। নিজ আর্থিক অবস্থার উন্নতির আশায় গত চার বছর আগে ব্রাজিলে পাড়ি জমান। সেখানে থাকাকালীন সব সময় একটা জিনিস চিন্তা করতেন এমন কোন কিছু করবেন যার মাধ্যমে আয় উন্নতি বৃদ্ধি এবং আর্থিক কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা যায়। যার ফলে নিজ এবং দেশ ও দশের সুনাম বয়ে আনা যায়।
যেই চিন্তা সেই কাজ এক ভিন্নধর্মী চিন্তা নিয়ে তিনি একটি মিনি বা ছোট গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তুলেন। এই মিনি গার্মেন্টস এর নাম দেন বিডি জিন্স। বলতে গেলে এই গার্মেণ্টস তার জিন্স প্যান্ট প্রস্তুত এবং বাজারজাতের কাজ করা হয়। তার জানা ছিল একমাত্র বাংলাদেশে এই গার্মেন্টস শিল্পটি সারা বিশ্বের রপ্তানিযোগ্য শিল্প। বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মত কোটি কোটি টাকার পুঁজি খাটাতে না পারলেও অল্প কিছু পুঁজি দিয়ে তার এই মিনি গার্মেন্টস এর যাত্রা শুরু হয়। তবে সব থেকে যে জিনিসটি চোখে পড়ার মত তা হল তার ব্যবসায়ীক বুদ্ধিদিপ্ত চিন্তা আর কর্মঠতা। ইতোমধ্যে যে লাভজনক অবস্থানে প্রতিষ্ঠানটি আছে এর জন্য জন্য তাকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।
বিডিসংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন– উদ্দেশ্য ন্যায় এবং সঠিক হলে এই বিডি জিন্সের মিনি গার্মেন্টসকে একদিন অনেক বড় পরিসরে নিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। যেখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের হবে এবং দেশের সুনাম প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। তিনি দেশের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বর্তমানে ব্রাজিলে তার এই মিনি গার্মেন্টস একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে তার সাথে কয়েকজন কর্মী কাজ করেন।
বিডিসংবাদ/এএইচএস