আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি এজাহারভুক্ত

যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছে মোহাম্মদপুর থানা।

বুধবার মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে (সিএমএম) মামলার নথি পেরণ করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম কামরুল হাসান মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অাগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালত আমাদের এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে বুধবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা।

এরপর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।

গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

যৌতুকের জন্য মারধরের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে ৫ লাখ এক টাকা দেন-মোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা দুজনে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার শুরু করেন। সংসার চলাকালীন অবস্থায় ৬ মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি তার মায়ের পরামর্শে নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান।

২০১৬ সালের ১২ জুন বাদী নাসরিন সুলতানা ভাড়া বাসাসহ যাবতীয় ভরণ-পোষণ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সংসার করতে স্বামী সানির সঙ্গে দেখা করেন। এসময় আরাফাত সানি যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবি করে নাসরিনকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি অনেক খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে।

এরপর বাদীকে গাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন যে, তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর। তখন বাদী তার বাসায় চলে যান।

এছাড়া বাসায় অবস্থানকালে আরাফাত সানি দুজনের কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি হুমকি দেন যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার পরিণতি আরও খারাপ হবে। পরে ২৫ নভেম্বর আবার তার ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় নাসরিন সুনতানা বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলাটি করেন।

আরাফাত সানিকে গ্রেফতারের পরের দিন ২৩ জানুয়ারি যৌতুক আইনে দ্বিতীয় মামলাটি করেন নাসরিন সুলতানা।