ব্রাজিল সাওপাওলো থেকে মির্জা নাসেরঃ ব্রাজিল প্রবাসীদের মধ্যে একজন অন্যতম সাফল্যবান ব্যক্তি, যার সাফল্যের ইতিহাস জানলে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয় তার নাম জয়নাল আবেদীন।
ঠিক ২০০৬ সাল জয়নাল প্রতিবেশী একজনের কথায় উৎসাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন দঃআমেরিকা দেশ ব্রাজিলে যাবেন। যে চিন্তা সেই কাজ চলে আসলেন ব্রাজিল। অবস্থার পরিবর্তনের আশায় ব্রাজিলে মাটিতে প্রথমে অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে। পরে তিনি সাও পাওলোয় বাংলাদেশী ১০০ টাকা পরিমাণ অর্থ দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেন পরবর্তীতে তার ব্যবসার পরিধী বাড়তে থাকে, বর্তমান প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। সাও পাওলোয় বর্তমানে তার একটি বড় সুপার শপ আছে।
যখন তিনি দঃ আমেরিকাতে আসেন তখন ছিল বাংলাদেশী হাতে গোনা কয়েকজন লোক। এরপর থেকে দঃ আমেরিকার দেশগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশী আশা শুরু করে। যাদের অনেকেই বর্তমানে এখন অনেক সাবলম্বী এবং পরিবার ও পরিজন নিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছেন ।
বিডিসংবাদের সাথে তার একান্ত সাক্ষাৎকারে জানা গেল- দঃ আমেরিকাতে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক কম। তাই এদেশের সরকার বহিরাগতদের সহজে স্থায়ী বসবাসে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনেক সুযোগ ও দিয়ে থাকে। এহাড়া এই দেশে শ্রমবাজারে কর্মজীবীদের অনেক চাহিদা রয়েছে ফলে দেশের মানুষ প্রচুর সুবিধা অর্জন করতে পারেন। এই দেশ গুলি বাংলাদেশের জন্য অনে সম্ভাবনাময় দেশ।
প্রবাসী বাঙালীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ী জয়নাল বাংলাদেশে সরকারের কাছে একটি দাবি জানিয়েছেন সেটি হল- “যারা পরবিবার পরিজন নিয়ে বাস করেন তাদের সন্তানদের জন্য বাংলাদেশ সরকার যদি বাংলাদেশ স্কুল স্থাপন করেন তাহলে অনেক উপকার হত।”
এখান থেকে প্রচুর রেমিটেন্স যাচ্ছে দেশে বৈধ ও অবৈধ ভাবে। যদি বাংলাদেশ সরকার দেশীয় ব্যাংকের শাখা স্থাপন করেন তাহলে বৈধপথে প্রচুর রেমিটেন্স দেশে যাবে। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মশক্তি আরো বেশী করে সক্রিয় করার আবেদন জানান।
জয়নাল আবেদীন বাংলাদেশের বি বাড়িয়া জেলার বান্দায়াম্পুর থানার দরিকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তিনি এক সন্তানের জনক। তার ছেলের নাম জাহিদুল ইসলাম সজীব। উনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি সজীব সুপার মার্কেট এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সজিব লি. হিসেবে পরিচিত। উনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সফলতার পিছনে স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার সুমীর অনেক অবদান রয়েছে।
বিডিসংবাদ/এএইচএস