ওয়াসিম-ইনজামামের ‘ফাঁসি’ হলে পাকিস্তান ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং আর হত না : কাদির

স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারীতে একের পর এক পাকিস্তানের খেলোয়াররা জড়িয়ে পড়ায় চটে উঠেছে দেশটির কিংবদন্তী লেগ-স্পিনার আবদুল কাদির । এবারতো তিনি এক রকম ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন। তার কথায় পাকিস্তানের ক্রীড়ামোদীরাও চমকে উঠেছে।

একটি টিভি শোতে আলোচনা সময় আবদুল কাদির বলেন, ৯০ দশকের শেষ দিকে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারীতে যদি ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনূস, মুশতাক আহমেদ এদের ‘ফাঁসি’ হলে পাকিস্তানে আর স্পটফিক্সিং কেল্ঙেকারীর মত জঘন্য কাজ ঘটত না।

তিনি আরো বলেন, ওয়াসিম, ইনজামাম, মুশতাক স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য এরা সবচেয়ে বড় কালপ্রিট।

পাকিস্তান সুপার লীগের দ্বিতীয় আসরে দুুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে জাতীয় দলের পাঁচজন ক্রিকেটারও রয়েছেন। ইতোমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদেরকে সাময়িকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে।

ওয়াসিম-ইনজামামের ‘ফাঁসি’ হলে পাকিস্তান ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং আর হত না : কাদিরএক্সপ্রেস ট্রিবিউন একটি প্রতিবেদনে আবদুল কাদিরের বরাত দিয়ে বলা হয়, ওয়াসিম, ইনজামাম, মুশতাক-এ রকম একটা লিস্ট আছে যাদেরকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য দায়ী করা যায় তাদের কবজিতে ছোট্ট একটা করে চড় না দিয়ে যদি ফাঁসিতে ঝোলানো যেত তাহলে আর এখন এধরনের কোন ঘটনা ঘটত না।

২০০০ সালে বিচারপতি মালিক মুহাম্মদের কাইউমের রায় অনুসারে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য আজীবন নিষিদ্ধ হয় দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার সেলিম মালিক (২০০৮ সালে প্রত্যাহার) ও আতা-উর- রেহমান  (২০০৬ সালে প্রত্যাহার)। এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে ওয়াসিম আকরাম যেন আর কখনো দায়িত্ব না পায় সেই সুপারিশ করা হয়। কাইউম কমিশনের আরো বেশকিছু সুপারিশও ছিল।

সেদিকে ইঙ্গিত করে কাদির বলেন, ছোট ক্রিকেটারদের বলি দিয়ে বড় ক্রিকেটারদের দুর্নীতি পিসিবি সবসময় আড়ালের চেষ্টা করে। ওয়াসিম, ওয়াকার, ইনজামাম, মুশতাক সবাই এখনো পাকিস্তান ক্রিকেটের সাথে কাজ করে, কিংবা করেছে তাহলে কেন তাদের উপর কাইউম কমিশিনের সুপারিশগুলো বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে না প্রশ্ন তোলেন এই কিংবদন্তী স্পিনার।

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বারবার স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় আবারো বিব্রত গোটা দেশ। এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। আমির এখনো পাকিস্তান দলে ফিরে এলেও আসিফ ও বাটের ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে। এনডিটিভি স্পোর্টস।