চ্যালেঞ্জ করলাম, রামপালে কোনো ক্ষতি হবে না

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ক্ষতি হবে না এমন চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আপনারা (আন্দোলনকারী) রামপাল নিয়ে বিতর্ক বা অন্য যা কিছু আয়োজন করুন। যেখানে সব মিডিয়া থাকবে। প্রয়োজন হলে লাইভও হবে। যেখানে দর্শকরা সরাসরি দেখবে। আমি সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবো। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, রামপালে কোনো ক্ষতি হবে না।

শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে এক আলোচনায় আবুল কালাম আজাদ এই কথা বলেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। রামপালবিরোধী আন্দোলনে তিনিও সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান আবুল কালাম।

তিনি বলেন, এই কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে কোনো ভুল নেই। রামপালবিরোধী আন্দোলনকারীরা সংশয় থেকে নানা কথা বলছেন।

সুন্দরবনের অদূরে বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

তবে এসডিজি কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তে সরকারের কোনো ভুল নেই। জনগণ যেমন দেশের উন্নয়ন চায়, তেমনি সরকারও দেশের উন্নয়ন চায়। দেশের ক্ষতি হোক-এটা সরকার কেন চাইবে?’।

আলোচনায় রাজধানীকে ঘিরে সরকারের নানা উন্নয়ন পরিকল্পনার বর্ণনা দেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো খনন করে গভীরতা বাড়ানো হবে। নদীর পার চওড়া করা হবে। শহরের চারপাশে সার্কুলার রেললাইন করা হবে, নদীর পারে করা হবে চার লেনের রাস্তাও।

নগরবাসীর চলাচলে স্বাচ্ছন্দ আনতে ঢাকায় সরকারের বড় বড় বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান এসডিজি সমন্বয়ক। এই উদ্যোগে বড় বড় কোম্পানিগুলো সম্পৃক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলামও।