মুশফিক-মিরাজে বাংলাদেশের দিন

ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে তৃতীয় দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। দলের বিপর্যয়ে মিরাজকে নিয়ে লড়াই করেছেন মুশফিক।

মুশফিক ও মিরাজের ব্যাটে ৬ উইকেটে ৩২২ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৮১ এবং মিরাজ ৫১ রান নিয়ে রোববার চতুর্থ দিনে ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন। ভারতের চেয়ে এখনও ৩৬৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

শনিবার ১ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ২৪ রানের সঙ্গে তিন যোগ করেই ঝুঁকিপূর্ণ ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন তামিম ইকবাল।

এরপর ৬৪ রানে উমেশ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। ১২ রান করেন তিনি। আর দলীয় ১০৯ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে (২৮) এলবিডব্লিউ করেন ইশান্ত শর্মা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

তাদের জুটিতে আসে ১০৭ রান। এই জুটি ভাঙেন স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। অশ্বিনের বলে ৮২ রান করা সাকিব উমেশ যাদবের হাতে ধরা পড়েন। এরপর ১৬ রান করে জাদেজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাব্বির রহমান।

২৩৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আজ পুরো দিন বাংলাদেশ খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। আশংকা করা হচ্ছিল ফলোঅনে পড়ে আজই আবারও মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

তবে মুশফিক এবং মিরাজ ভারতীয় বোলারদের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান। তাদের জুটিতে আসে ৮৭ রান। দুজনেই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। মুশফিক ২০৬ বল খেলে ৮১ রান করে অপরাজিত আছেন। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ এই ম্যাচে দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

মিরাজ ১০৩ বল খেলে ৫১ রানে অপরাজিত আছেন। এটা তার প্রথম টেস্ট ফিফটি।

এর আগে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৬৮৭ রান সংগ্রহ করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক ভারত। দলের পক্ষে বিরাট কোহলি ২০৪, মুরালি বিজয় ১০৮, ঋদ্ধিমান শাহ ১০৬ করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৩টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ১টি উইকেট লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।