বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরাইলকে ট্রাম্পের হুশিয়ারি

ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়ায় ইসরাইলকে হুশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগকে খাটো করতে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তিনি এ চেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানান।

গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের পক্ষে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছিলেন।

একদিকে ট্রাম্প ইসরাইলের তেলআবিব থেকে ফিলিস্তিনি শহর জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে আনার কথা বলেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে নতুন করে বসতি স্থাপনের তৎপরতা শুরু করে ইসরাইল।

এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করলেন ট্রাম্প।

হোয়াইটহাউজের একজন কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের অবসানে ‘দ্বি-রাষ্ট্রের সমাধানের’ বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন করে কয়েক হাজার বসতি স্থাপনের জন্য ইসরাইল যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে হোয়াইট অবাক হয়েছে।

ওই মার্কিন কর্মকতা বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরইমধ্যে এটি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি এমন একটি চুক্তিতে উপনীত হতে আগ্রহী যাতে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটে।

এ লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে বর্তমানে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

আমাদের এই মনোভাবের কারণে, আমরা সব পক্ষকে বসতি স্থাপনের ঘোষণাসহ সব ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাই।

শান্তি চুক্তিতে উপনীত হতে সব পক্ষের সঙ্গে পুরোপুরি আলোচনা করতে ট্রাম্প প্রশাসনের সুযোগ প্রয়োজন বলেও জানান হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা।

জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে ওই কর্মকর্তার বরাতে দ্বি-রাষ্ট্র নিয়ে ট্রাম্পের স্বপ্নের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে একটি সমন্বিত চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর ফলে দুই রাষ্ট্রের নাগরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।’

পরে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেস সেক্রেটারি সিন স্পাইসার বলেন, বসতি স্থাপনের বিষয়ে আমরা কোনো দাফতরিক অবস্থান নেই।

তিনি বলেন, যদিও আমরা মনে করি না যে শান্তি স্থাপনের পথে বিদ্যমান বসতি কোনো অন্তরায়, তবে নতুন বসতি স্থাপন বা ইসরাইলের বর্তমান সীমানা অতিক্রম করে বিদ্যমান বসতির সম্প্রসারণ শান্তি স্থাপনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে না।

ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তি স্থাপনের বিষয়ে গত অর্ধশতাব্দী ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আসছে তা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎ করার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে।