গণপরিবহন বন্ধে বিপাকে পরীক্ষার্থী ও জনসাধারণ

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে বন্ধ গণপরিবহন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী ও সাধারণ মানুষ। যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে। কেউ আবার ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প উপায়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে।

করোনা পরিস্থিতির পর থেকে শুক্রবারকে অনেকেই পরীক্ষা দিবস বলে আখ্যা দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এদিনে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় কপাল পুড়ছে অনেকের। বেহাত হয়ে যাচ্ছে চাকরি নামরে সোনার হরিণটি।

জানা গেছে, আজ দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউট ও অধিদফতরসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে নয় লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৯ জন চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষায় বসবেন। কিন্তু হঠাৎ করে গণপরিবহন বন্ধে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারাই। স্বপ্ন অধরা থেকে যাচ্ছে অনেকের।

বাগেরহাট বাস টার্মিনালে সরিজমিনে কথা হয় এক চাকরিপ্রত্যাশীর সাথে। তিনি জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে টার্মিনালে এসেছেন। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কোনো উপায় না পেয়ে বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে করে চাকরি নামের সোনার হরিণের জন্য অপেক্ষার প্রহর আরো বাড়লো।

অনেতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভ্যান বা বিকল্প যানবাহনে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। তাদের একজন মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, সকালম ভোরে খুলনায় নেমে অটোভ্যানে করে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছি বাগেরহাট। এতে করে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। কোনোভাবে আসতে পারলেও এখন যাওয়ার কোনো উপায় পাচ্ছি না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের জোয়ার ঠেকাতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। চট্টগ্রামে আর ময়মনসিংহে সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি ঠেকাতে এমন ধর্মঘট বলেও মন্তব্য দলটির।

উল্লেখ্য, বিএনপি ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুদিন বাস চলাচল বন্ধ রাখলেও বাস মালিক সমিতি বলছে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে।

বিডিসংবাদ/এএইচএস