বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের দায়িত্বের ওপর আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জি এম কাদেরের করা আপিল গ্রহণযোগ্যতার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। ফলে তার ওপর বিচারিক আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
এদিন জি এম কাদেরের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শুনানি নিয়ে আদালত তা খারিজ করেন। এর ফলে জি এম কাদেরের ওপর বিচারিক আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে। আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।’
দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জাপা চেয়ারম্যানের ওপর আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা বিবিধ আপিল আবেদন বিষয়ে ৯ জানুয়ারি শুনানি গ্রহণ করেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। পরে ১৫ জানুয়ারি (রোববার) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে সেদিন কোনো আদেশ হয়নি। বৃহস্পতিবার আপিল আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে পুনরায় শুনানি গ্রহণ করা হয়।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈধ ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে আদালতে মামলা করেন।
বাদির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদি জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
২০২২ সালের ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: মো: আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর বাদি মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।
বিডিসংবাদ/এএইচএস