বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলের সখিপুরে অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ঠাণ্ডু (৩৮) হত্যা মামলায় ভাই ও ভগ্নিপতিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের বিশেষ (দায়রা) জজ আদালতের বিচারক বেগম শাহানা হক ছিদ্দিকা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ফুলবাগ (গোবরচাকা) গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে মিনহাজুর রহমান ওরফে মিন্টু (৪১) ও একই গ্রামের মৃত সূর্য্যত আলীর ছেলে আব্দুল মালেক ওরফে শুকুর (৪৬)।
টাঙ্গাইলের বিশেষ (দায়রা) জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো: মহসিন সিকদার ও স্পেশাল এপিপি মাহবুব খালিদ তালুকদার নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, সখিপুরের পলাশতলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ঠাণ্ডুর সাথে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সহোদর ভাই মিনহাজুর রহমান ওরফে মিন্টু ও মামাত বোনের স্বামী আব্দুল মালেক ওরফে শুকুরসহ অন্য আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিনই পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন জামাল হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার। তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আব্দুল মালেক ওরফে শুকুর পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় অপর তিন আসামি শমসের আলী (পলাতক), মাসুদ রানা ও নান্নু মিয়াকে খালাস দেয় আদালত।
পারভিন আক্তার বলেন, ‘আমি এই রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করব। একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।’
বিডিসংবাদ/এএইচএস