বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
থাইল্যান্ডের সংস্কারবাদী নেতা পিটা লিমজারাটকে সেদেশের পার্লামেন্ট থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাবনা এখন ‘প্রায় শেষ হয়ে গেছে’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারাটের বিরুদ্ধে আনা মামলা শুনানি করতে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত রাজি হবার পরই এ আদেশটি জারি করা হয়।
পিটা লিমজারাট বর্তমানে-বন্ধ একটি মিডিয়া কোম্পানির শেয়ারের মালিক হবার কারণে তাকে পার্লামেন্টের সদস্য থাকার অযোগ্য ঘোষণা করা হবে কিনা- এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে এই সাংবিধানিক আদালত।
পিটা তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য লড়তে পারেন। কিন্তু তিনি জেতার জন্য যথেষ্ট ভোট পাবেন এমন সম্ভাবনা কম।
আদালতের আদেশ স্বীকার করে নিয়ে পার্লামেন্টে পিটা বলেন, এ অভিযোগের ব্যাপারে আদালতে রুলিং না দেয়া পর্যন্ত তিনি কাজ বন্ধ রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৪ই মে-র পর থাইল্যান্ড চিরতরে বদলে গেছে এবং তিনি নিজে না থাকলেও তার সহযোগী পার্লামেন্ট সদস্যদের তিনি জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিটার দল মুভ ফরোয়ার্ড বলছে, সাময়িক বরখাস্তির এ আদেশে পিটার মনোনয়নের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে পিটা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি স্বীকার করেন যে তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পাবেন না।
বিয়াল্লিশ-বছর বয়স্ক পিটার বুধবারই পার্লামেন্টে এক ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। এর আগে গত সপ্তাহে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হন।
প্রধানমন্ত্রী হতে হলে দুই কক্ষবিশিষ্ট থাই পার্লামেন্টের মোট ৭৪৯ জন সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ মোট ৩৭৫টি ভোট পেতে হবে।
কিন্তু গত সপ্তাহে পিটা লিমজারাট মাত্র ৩২৪ ভোট পান। পার্লামেন্টে উচ্চ কক্ষে ২৪৯ জন অনির্বাচিত সদস্য আছেন – যারা থাই সামরিক বাহিনীর বেছে নেয়া। সংবাদদাতারা বলছেন, ২০০৬ সালের অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনী ও রাজতন্ত্রপন্থীরা এই সেনেটরদের বসিয়েছিল- যাতে তাদের পছন্দ নয় এমন যে কোন গণতান্ত্রিক উদ্যোগকে আটকে দেয়া যায়।
মে মাসের নির্বাচনের হার্ভার্ডে-পড়া পিটা লিমজারাটের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি বিজয়ী হয়- যারা বড় আকারের সংস্কার এবং বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাজার মানহানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগুলো সংশোধনের অঙ্গীকার করেছিল।
এরপর পিটা যাতে ক্ষমতাসীন হতে না পারেন সে জন্য এস্টব্লিশমেন্ট-পন্থীরা প্রয়াস চালাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে রক্ষণশীল সাংবিধানিক আদালতে দু’টি মামলা হয়।
সাংবিধানিক আদালতের বিতর্কিত রুলিংএর নজির এটিই প্রথম নয়। ২০০৮ সালের পর থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে এ আদালত বরখাস্ত করেছে। সূত্র : বিবিসি
বিডিসংবাদ/এএইচএস