নিজের ভাস্কর্য উন্মোচন করে শচিন বললেন: ভারতকে ‘দেখে আনন্দ লাগছে’

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

হোম গ্রাউন্ড মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গতকাল নিজের ভাস্কর্য উন্মোচনের পর ক্রিকেট কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার বলেছেন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে ‘দেখে আনন্দ’ লাগছে।
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে স্বাগতিক ভারত। ১০ দলের এই টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত রয়েছে রোহিত শর্মার দলটি।
২০১১ সালে এই স্টেডিয়ামেই শ্রীলংকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছিল ভারত। ওই দলের সদস্য ছিলেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার। এবারের আসরে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক মেধাবী তারকা রোহিত শর্মা। নিজ দলকে চাপে না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শচিন।
তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সহজেই ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হারানোসহ ‘ভারতীয় দলের এমন জয় দেখে আনন্দ হচ্ছে’ বলেও জানিয়েছেন লিটল মাস্টার। তিনি বলেন,‘এই টুর্নামেন্টে তারা যেভাবে খেলছে তা দেখে আমি খুবই খুশি।’
এর আগে ফটোগ্রাফার, টেলিভিশন ক্রু এবং পুলিশ বেস্টিত হয়ে ভারতের ঐতিহ্যবাহি ঢোল বাজিয়ে কির্তন গাইতে গাইতে আউটফিল্ডে যান শচিন ।এরপর বোতাম টিপে আতশবাজির ঝলকানিতে নিজের ভাস্কর্য উন্মেচন করেন তিনি। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন স্থানীয় শিল্পী ভাস্কর প্রমোদ কাম্বলে।
স্টেডিয়ামের শচীন টেন্ডুলকার স্ট্যান্ডের স্থাপিত হয়েছে এই ভাস্কর্যটি। একটি ক্লাসিক স্ট্রেট ড্রাইভের সমাপ্তির আদলে ‘লিটল মাস্টার’ নামের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শচিনের সবচেয়ে পরিচিত শটগুলির মধ্যে একটি।
যদিও বিশ্বের অনেক মাঠের স্ট্যান্ডের নাম বিখ্যাত খেলোয়াড়দের নামে রাখা হয়েছে। তবে জীবন্ত ক্রিকেটারদের মূর্তির সংখ্যা খুবই কম। নিজের ভাস্কর্য উন্মোচনের পর ৫০ বছর বয়সী টেন্ডুলকার বলেন,‘ এটি সত্যিই আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, আমি সত্যিই আপ্লুত। এখানে দাঁড়িয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে।
তার মানষপটে ভেসে আসে ১৯৮৩ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসার ঘটনা। লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর ভারতীয় দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন তিনি। বড় ভাইসহ ২৫ জনের একটি দলের সঙ্গে এসেছিলেন তিনি। যদিও তাদের কাছে টিকিট ছিল মাত্র ২৪টি।

বিডিসংবাদ/এএইচএস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here