পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে : মেয়র তাপস

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজার সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এই কথা জানান।

মেয়র তাপস বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যের একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি। ধাপে-ধাপে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করব। যাতে করে বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে।’

ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম- ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয়, বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তারই একটি শুভ সূচনা আজকে আমরা করতে পারছি। এই ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক- যেটা রমনা ফটক নামেও পরিচিত ছিল একসময়- তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের চিত্র যদি আপনারা দেখেন, এই ফটকই ছিল ঢাকার মূল প্রবেশদ্বার ছিল। বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আসার পর এই প্রবেশদ্বার দিয়েই সকলে ঢাকায় প্রবেশ করতো এবং এই ফটকের চারিপাশে হাতি দ্বারা পাহারারত অবস্থায় থাকতো। এরকম চিত্রও আমরা দেখেছি। আমরা সেই ইতিহাসকে, সেই ঐতিহাসিক চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এ সময় বলেন, ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োচিত। কারণ এই ঢাকা কেবলমাত্র রাজধানী হিসেবেই নয়, এর একটা ঐতিহ্য রয়েছে। ৪০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসের সাথে অনেক কিছু জড়িত। ছাত্রজীবনে আমরা এই রমনা গেট দিয়ে ঢুকতাম। ৬২’র সেই সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময় এখানে মিলিটারি এসে রেইড দিয়েছিল, যাতে করে আমরা অগ্রসর হতে না পারি। এখানেই মিলিটারিদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার রয়েছে। এখানে যে মসজিদটি রয়েছে যেটাকে গরম মসজিদ বলে সবাই জানি- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো: হায়দর আলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ ও সংরক্ষিত আসনের নারগীস মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

বিডিসংবাদ/এএইচএস