বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
রাশিয়ান ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করেছিল এবং মস্কোর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘সমস্ত পথ’ যেতে প্রস্তুত ছিল।
শনিবার প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে মস্কোর বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
শনিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিগোজিন টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায় বলেছেন, ওয়াগনার যোদ্ধারা দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ শহরে প্রবেশ করেছিল।
তিনি আরো বলেন, তিনি এবং তার বাহিনীর সামনে যারাই অবস্থান নিবে তাদের ধ্বংস করা হবে।
প্রিগোজিন এর আগে কোনা তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে বলেছিলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী একটি বিমান হামলায় তার বিপুল সংখ্যক সৈন্যকে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং মস্কোর রাস্তায় সামরিক ট্রাকের দেখা মিলছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে লিপ্ত ছিল ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ। এর নেতা ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধের কৌশল নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করে আসছেন।
শুক্রবার তিনি তার দলের সৈন্যদের উপর এক মারাত্মক মিসাইল হামলার অভিযোগ করেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মিসাইল হামলার কথা অস্বীকার করে এবং প্রিগোজিনকে সবরকম ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধের আহ্বান জানায়।
তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। তবে কোনো সামরিক অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াগনার দলনেতা।
শনিবার সকালে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় ওয়াগনারের সৈন্যরা রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করছে। তবে এই ভিডিও সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি।
আরেক ভিডিওতে দেখা যায় সশস্ত্র সৈন্যরা এক সরকারি ভবন ঘিরে রেখেছে এবং দুটি ট্যাংক থেকে অস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। রয়টার্স বলছে, এটি পুলিশ হেডকোয়াটার্স ভবন।
সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি
বিডিসংবাদ/এএইচএস