রাজধানীতে ভুয়া ডিবি চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীতে ভুয়া ডিবি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক স্বপন মিয়া। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন পিযুষ সুর (২৭), মো. হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কালো মাইক্রোবাস, একটি সাদা রঙের প্রভোক্স প্রাইভেটকার, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতার এ চক্রটি নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।

তিনি বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশাযোগে মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি কালো রঙের নোয়াহ্ গাড়ি তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তার সাথে থাকা চার লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশী মুদ্রা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ হয়ে ঢাকা মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে মাওয়ার দিকে চলে যায় ভুয়া ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

হারুন অর রশীদ বলেন, ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পরে ওই ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগও ছায়াতদন্ত শুরু করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় কালো রঙের নোয়াহ্ গাড়িটি পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

বিডিসংবাদ/এএইচএস