
বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
সাইবার হামলার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে মধ্যপ্রাচ্য। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গত বছর সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। আগামী বছরও তাদের ওপর সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীর্ষস্থানীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ম্যান্ডিয়েন্ট সম্প্রতি এক সমীক্ষাতে এমন তথ্য হাজির করেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এ অঞ্চলে আগামী বছর আরো সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তারা এই অঞ্চলের সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে ‘সাইবার হুমকি গোয়েন্দা’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
ম্যান্ডিয়েন্টের সিনিয়র হুমকি গোয়েন্দা উপদেষ্টা জেমি কোলিয়ার বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ গোয়েন্দা সক্ষমতার জন্য প্রয়োজনীয় বিল্ডিং ব্লক চালু করতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন সিটিআই পদ্ধতির ব্যবস্থা রাখা।
কলিয়ার বলেন, সিটিআইয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো সাংগঠনিক স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ দেয়া এবং ক্ষমতায়ন করা। ফলে সিটিআই দলগুলো সীমিত সংস্থানসহ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাদের সেরা পারফর্ম দেখাতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের সংস্থাগুলোর ৯৬ ভাগ নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বিশ্বাস করেন যে তাদের সংস্থার ওপর কোন ধরনের হুমকি হতে পারে, তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোলিয়ার বলেছিলেন যে প্রতিপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া অপরিহার্য।
অভিযোজিত নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস সুরক্ষার জন্য সমাধান প্রদানকারী সংস্থা নর্ডলেয়ারের আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের সংস্থাগুলোর মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন ধরণের সাইবার আক্রমণ ও সেগুলোর সমাধান উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সাইবার আক্রমণের সর্বাধিক প্রয়োগ করা তিনটি পথ হলো ফিশিং (৪০ ভাগ), ম্যালওয়্যার (৩৬ ভাগ) ও ডেটা লঙ্ঘন (২৭ ভাগ)। এ তিন পথে কোম্পানিগুলোর উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
নর্ডলেয়ারের মতে, সাইবার বীমা ব্যবসার জন্য একটি অপেক্ষাকৃত নতুন সমাধান। তবে এটি তাদের প্রতিরোধ করার পরিবর্তে ঘটনার প্রতিক্রিয়াগুলোকে কভার করার ওপর জোর দেয়।
যাইহোক, কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা সমাধান, পরিষেবা ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে অগ্রাধিকার হিসেবে বিনিয়োগ করা মধ্যপ্রাচ্যের সংস্থাগুলোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর সমাধান। তাই ২০২৩ সালে বেশিরভাগ সংস্থাই এই সমাধান গ্রহণ করেছে।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, ১০টির মধ্যে সাতটির বেশি কোম্পানি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে (৭৮ ভাগ)। তবে নিরাপদ পাসওয়ার্ড ও ফাইল এনক্রিপশন (উভয় ৬৭ ভাগ) এই মুহূর্তে সংস্থাগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা নীতি তৈরি করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, প্রায় ৩৫ ভাগ ব্যবসা ২০২৩ সালে তাদের বাজেটের ২৫ ভাগ পর্যন্ত আইটি প্রয়োজনীয়তার জন্য ব্যয় করতে চায়। অন্য ৩২ ভাগ ৫০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় করার পরিকল্পনা করে।
সূত্র : আরব নিউজ
বিডিসংবাদ/এএইচএস