অবিলম্বে না’গঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনের দাবী সদরবাসীর

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ

নারায়নগঞ্জের স্থানীয় সরকারের সকল শাখায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সদর উপজেলাবাসী। সকল জটিলতার নিরসন ঘটিয়ে অবিলম্বে সদর উপজেলা নির্বাচন দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে একে একে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, বহুল আলোচিত নাসিক নির্বাচন এবং তারপর জেলা পরিষদ নির্বাচন। কিন্তু অনেক আগে সদর উপজেলার সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো  নির্বাচনের কোন নাম গন্ধও নেই । কি কারনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মত গুরুত্বপুর্ন নির্বাচন হয় না, তা সদর উপজেলাবাসী অবগত নয়। কোন আইনগত ঝামেলা আছে কিনা, তাও জানে না তারা।
এদিকে নির্বাচন না হওয়ায় সদরবাসীর সর্বনাশ হলেও পৌষ মাস বিরাজ করছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের-এমনটাই জানা গেছে সদরবাসীর সাথে কথা বলে। তাদের মতে, আজাদ বিশ্বাসের ষড়যন্ত্রের কারনেই দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে সদর নারায়ণগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন। পদ আকড়ে পরে থাকার লোভেই তিনি এ ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছে তারা।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান থাকার পরেও কেন এবং কি কারনে সদর উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে না, তা আমরা ভেবে পাই না। এ নিয়ে নেতা কর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস  কি অন্তরালে কল কাঠি নারছে কিনা তা ও দেখার বিষয়। কারন আজাদ বিশ্বাস যে কোন মুল্যে সদর উপজেলার চেয়ায় ধরে রাখার জন্য দলীয় কর্মকান্ডের বাইরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তোষামোদে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত। আজাদ বিশ্বাসের হাত থেকে সদর উপজেলাকে উদ্ধার করে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপক্ষের কাউকে দায়িত্ব প্রদানের জন্য দাবী জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত একাধীক প্রার্থী থাকায় বিএনপি সমর্থীত একমাত্র প্রার্থী ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।