আলোচনা ছাড়া ডিজিটাল ভোটিং মেশিন নয় : সিইসি

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে জাতীয় নির্বাচনে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহারের কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কমিশনের সংলাপ হতে পরে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম অব ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) নেতাদের সঙ্গ এক মতবিনিময়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদা এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) নিয়ে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা এর টেকনিক্যাল দিকগুলো দেখেছি। এটা ব্যবহার করা সম্ভব হলে নির্বাচনে অনেক জটিলতা কমে যাবে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজও ৭০ ভাগ কমে যাবে। তবে এটি টেকনিক্যাল বিষয়। আমাদের সামনে যে সময় রয়েছে, এ সময়ে আমাদের এটা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতাও আছে।

তবে রাজনৈতিক দলসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে আমরা এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবো না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায়, সেক্ষেত্রে আমরা ডিভিএম ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করব। ’
ডিভিএম বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে এর ব্যবহার করা হবে বলেও জানান সিইসি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা রোডম্যাপ বা অ্যাকশন প্ল্যান করছি। এই রোডম্যাপ চূড়ান্ত হলে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করব। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোডম্যাপ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো যাবে না। ’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নির্বাচন মনিটরিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গেও সংলাপে বসা হবে বলে জানান সিইসি।
মতবিনিময়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদত হোসেন ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।