একটা সুযোগও দেননি মোমিনুল!

টেস্ট ক্যারিয়ারে মোমিনুলের সেঞ্চুরি চারটা। তার অর্ধেকই অর্থাৎ দুটি সেঞ্চুরিই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ফরম্যাটে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাও (১৮১) খেলেছিলেন কিউই বোলারদের তুলোধুনো করে, ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। সেদিনই অবশ্য নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে এখন অন্যতম ভরসার প্রতীক মোমিনুল। এ পর্যন্ত ২০টি টেস্ট (চলতি টেস্টসহ) খেলে ৫৩.৮০ গড়ে করেছেন ১৬১৪ রান। চারটা সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ১১টি হাফ সেঞ্চুরিও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট (চলতি টেস্টসহ) খেলেছেন মোমিনুল। মোট পাঁচ ইনিংস ব্যাট করে তিনটিতেই অপরাজিত থাকায় ব্যাটিং গড়টাও চোখে পড়ার মতোই, ২২০.০০! নামের পাশে যোগ করেছেন ৪৪০ রান।

তার মানে, নিউজিল্যান্ডকে পেলেই জ্বলে ওঠেন মোমিনুল। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভেও তার প্রমাণ রাখলেন। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটিতে প্রথম দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে। তার ১১০ বলে ইনিংসটি সমৃদ্ধ ১০টি চার ও একটি ছক্কায়। তার ব্যাটে ভর করে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

এই মোমিনুলকে এখন পথের কাটা ভাবছে নিউজিল্যান্ড। ব্যাপারটা কোনো রাগঢাক না রেখেই স্বীকার করলেন কিউই তারকা বোলার নেইল ওয়েগনার। ম্যাচে ফিরতে হলে মোমিনুলের উইকেটটি দ্রুত পতন ঘটাতে চাইবে স্বাগতিকরা।

ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মোমিনুলের বিপক্ষে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড। ওয়েগনারও তার জানিয়ে রাখলেন আগেভাগেই। বললেন, ‘কয়েক বছর আগে ঢাকায় তার (মোমিনুল) বিপক্ষে খেলেছিলাম। সেই সময়ের মোমিনুলের সঙ্গে এখনকার মোমিনুলের পার্থক্য দেখছি না। সে ভালো মানের ব্যাটসম্যান। যথেষ্ট ধৈর্য্যশীলও। লড়াই করতে পারে বুক চিতিয়ে।’

প্রথম দিনে মোমিনুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে ওয়েগনার বলেন, ‘আমাদের কোনো সুযোগ তৈরি করতে দেয়নি মুমিনুল। বলগুলোতে দারুণভাবে মোকাবেলা করেছে। এটা স্পষ্ট, সে আমাদের বিপক্ষে ব্যাট করতে ভালোবাসে। সুতরাং আগামীকাল তার বিপক্ষে আরো কঠোর হতে হবে আমাদের।’
সূত্র : ওয়েবসাইট