কক্সবাজারে বিশ হোটেলে ছাড় ঘোষণা রুম পাওয়া যাচ্ছে তিন’শ টাকায়

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারে পর্যটক আকর্ষনে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতে বর্ষাকালীন বিশেষ ছাড় ঘোষনা করেছে ব্যবসায়ীরা। বিশেষ ছাড়ের আওতায় রয়েছে বিলাসবহুল হোটেলে থেকে শুরু করে মাঝারী মানের হোটেল। মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ওই হোটেল গুলোতে রুম পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত এই অফার অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ ছাড় ঘোষণা দেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, বর্ষা উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ২০ হোটেল। এসব হোটেলের স্বাভাবিক ভাড়া এক হাজার টাকার উপরে। মূলত বর্ষাকালে পর্যটনের মন্দা মৌসুমেও পর্যটক আকৃষ্ট করতে এই অফার ঘোষণা করা হয়।

বিশেষ ছাড় দেয়া হোটেল গুলো হচ্ছে, কলাতলি হোটেল মোটেল জোন এলাকার তাহের ভবন এন্ড গেষ্ট হাউস, ডায়মন্ড প্যালেস গেস্ট হাউস, অ্যালবাট্রস রিসোর্ট, সী-আরাফাত রিসোর্ট, আরএম গেষ্ট হাউস, সী-ল্যান্ড গেষ্ট হাউস, লেমিচ, রিসোর্ট, জিয়া গেষ্ট ইন, জিয়া গেষ্ট হাউস, কক্স ইন, সোহাগ গেষ্ট হাউস, বীচ হলিডে গেষ্ট হাউস, ওয়েল পার্ক রিসোর্ট, কক্স ভিউ রিসোর্ট, সিলিকন শাকিরা বে রিসোর্ট, ঊর্মি গেস হাউস, মাসকাট হলিডে রিসোর্ট, হোটেল বে- মেরিনা, গ্যালাক্সী রিসোর্ট লি: ও সী-কিং গেষ্ট হাউস।

আবুল কাশেম সিকদার আরো জানান বর্ষাকালীন অফারের আওতায় ২০ হোটেলের ১০টি করে মোট ২’শটি কক্ষ অফারের আওতায় থাকবে। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার এই অফারটি আগামী ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির নেতারা বলেন, পর্যটন এলাকায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দালাল চক্র। চক্রটির সদস্যরা পর্যটকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। এক শ্রেণীর মাদকাসক্ত, রিকসা, সিএনজি ও টমটম চালক ওই চক্রের সক্রিয় সদস্য। কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল এলাকায় পর্যটকরা বাস থেকে নামার সাথে সাথে নানাভাবে লাগেজ নিয়ে টানাটানিসহ প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে চক্রের সদস্যরা। পর্যটকদের প্রলোভনে ফেলে কমিশনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কিছু নিম্নমানের হোটেলে তোলে দেয়। পর্যটকদের কাছ থেকে ওই হোটেলগুলো গলাকটা রুম ভাড়া আদায় করছে। আর এসব হোটেল অপরাধীদের আড্ডাস্থল হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে সুযোগ বুঝে লুট করা পর্যটকদের মূল্যবান মালামাল। এতে পর্যটকেরা আর্থিক ও শারীরিকভাবে হয়রানি হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পর্যটন শিল্পে। এধরনের কর্মকান্ডে কক্সবাজার বিমূখ হচ্ছে পর্যটকরা। এতে করে পর্যটন ব্যবসায় দেখা দিয়েছে চরম মন্দা। অন্যদিকে অধিকাংশ হোটেল দালালের আশ্রয় না নেয়া হোটেলগুলো পর্যটক না পেয়ে আর্থিক দৈন্যদশায় পতিত হচ্ছে। এতে তারা কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না। ফলে সরকারি-বেসরকারি ভাবে বিনিয়োগকৃত শত শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিকেরা।

এ অফারে অন্তর্ভুক্ত হতে আরো ২২টি হোটেল আবেদন করেন। সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন শিল্প উন্নয়নে হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির পক্ষে ২০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির উপদেষ্টা ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু ও এড. আয়াছুর রহমান, হোটেল মোটেল ও গেস্টহাউজ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কোম্পানি, বজল আহম্মদ ও হোটেল কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি কলিম উল্লাহ।