কক্সবাজার শহরের বৃহৎ কবর স্থানটি দিন দিন গিলে খাচ্ছে ভুমি গ্রাসীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ  ভুমি গ্রাসী পাহাড় খেকুরা দিন দিন পাহাড় কেটে দখল বানিজ্য চালিয়ে আসলেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা মৃত্যুর পর মানুষের আসল ঠিকানা কবরস্থানও। তেমনি কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী বড় কবর স্থানের পাহাড় কেটে জায়গা দখল প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক শ্রেণীর ভুমি গ্রাসীরা। প্রাচীন কালের বাপ দাদার কবরস্থান দিনদিন গিলে খাওয়ায় ক্ষোভের অন্ত নেই মুসল্লিদের।

জানা যায়, কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী এলাকায় শতবর্ষীয় ৫ একর জায়গা জুড়ে সরকারী খাস জমির উপর কবরস্থনটি গড়ে তুলেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ কবরস্থানটি মানুষের কাছে বড় কবরস্থান হিসাবে পরিচিতি রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এখানে শহরের লোকজনসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মৃতদেহ দাপন করা হয়। কবরস্থনটি  অরক্ষিত হয়ে পড়ায় দিন দিন দখল প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক শ্রেণীর দখলবাজ ভুমি গ্রাসীরা। ভূমিদস্যুরা ঘর নির্মাণ করে দখল নিতে নিতে বর্তমানে কবরস্থনটি আড়াই থেকে তিন একরে দাড়িয়েছে। কবরস্থানের জায়গা দখল বানিজ্য চালিয়ে আসলেও রহস্য জনক কারে দেখার কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে এ ধারা অব্যাহত থাকায় অনেকে তাদের মা বাবা ও পূর্বপুরুষগণদের কবর রক্ষা করতে পারবে কি না এনিয়ে উৎকন্ঠার কথা জানালেন স্থানীয় এই বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোর্শেদ খোকন বলেন, মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাত মাটি। সাড়ে ৩ হাত কবর ছাড়া আর কিছুই নাই। দিনদিন কবরস্থানের জায়গা যেভাবে দখল হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে তার বাবা ও মার কবরও দখল হয়ে যাওয়ার আশংকায় করেন তিনি।

ভক্সপপ: ৪- কক্সবাজার পৌরসভা কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ বাবুল বলেন, কবরস্থানের জায়গা দিন দিন বেদখল হচ্ছে। দখল হলেও তা উদ্ধারের আমরা জনপ্রতিনিধি সহ সমাজের দায়িত্বশীল লোকজন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, সমন্বীত ভাবে কবরস্থান দখল মুক্ত করা জরুরী।

সাহিত্যিকাপল্লী বড় কবর স্থান রক্ষা কমিটি সভাপতি আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভুমি গ্রাসীরা কবরসহ করবস্থানের জায়গার পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করায় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দখল কারীদের উচ্ছেদ করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ সাহিত্যিকা পল্লী কবরস্থানের মত পবিত্র স্থানে বাড়ী ঘর নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ মাধ্যমে কবরস্থানের জায়গা উদ্ধার করে তা সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।