কলেজছাত্র নির্যাতন: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক কলেজ ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে লোহাগাড়া থানার ওসিসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ১৮ মে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র লোহাগাড়ার মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২০) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের এ অভিযোগ করেন।

আনোয়ার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা হলেন- লোহাগাড়া থানার এসআই ফখরুল ইসলাম, হেলাল খান, মোরশেদ আলম, নাছির উদ্দিন রাসেল, সোলাইমান পাটোয়ারী, মো. রুবেল এবং ওসি মো. শাহজাহান।

বাদীর আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বলেন, আদালত সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বাদীর অভিযোগের পর আনোয়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বলেন, “সিভিল সার্জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন।”

অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মো. হারুন বলেন, “১২ মে দুপুরে সাদা পোশাকে এসআই ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাদের বাড়িতে যায়।

“এসময় তারা আমার ভাবি মায়মুনা বেগম ও আনোয়ারকে মারধর করে। পরে আনোয়ারকে থানায় নিয়ে যায়।”হারুন বলেন, থানায় আনোয়ারকে সেদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পযন্ত মারধর করে।

অভিযোগের বিষয়ে ওসি মো. শাহজাহান বলেছিলেন, আনোয়ারের আরেক ভাই শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
এসময় দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা পুলিশরে ওপর হামলা চালালে এসআই ফখরুল আহত হন।

এ ঘটনায় ১২ মে লোহাগাড়া থানায় পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় আনোয়ারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল পুলিশ।