কুড়িগ্রামে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রাম সংবাদদতা: ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এ সব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা কবলিত বেশির ভাগ মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছেন।

নিম্নাঞ্চলের পথঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। বন্ধ রয়েছে জেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নুন খাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৯ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।