খাগড়াছড়িতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে ৫ বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলা সদরের হরিনাথপাড়া,সাংবাদিক সোসাইটি সংলগ্ন ছাত্রাবাস এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে পতিপক্ষের হামলা ৫ এলাকাবাসীর বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পর প্রাণের ভয়ে ৫ পরিবার বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। বিগত পৌর নির্বাচনের পর বিভক্ত পৌর মেয়র সমর্থক ও এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থিতদের মধ্যে চলে আসা সহিংসতার জের এ ঘটনা ঘটে।

হরিনাথ পাড়ার বাসিন্দা-বাদল,মিনারা,জরিনা ও ছাত্রাবাস ও সাংবাদিক সোসাইটি সংলগ্ন আবু মুছা ও কাশেম তাদের বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুরে জন্য এমপি গ্রুপকে দায়ী করেন। হামলাকারীরা, ক্ষতিগ্রস্থদের মেয়রকে সমর্থন ও তাদের লোকজনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে এ সকল বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে জানায় তারা। এ সময় তারা দ্রুত এ সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীন ও প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোসহ শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্খা করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে সমর্থন করাকে সকাল ও বিকাল দফায় দফায় পতিপক্ষ দফায় দফায় বাড়ী ঘরে হানা দিয়ে বাড়ী-ঘর হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। তবে এ ঘটনার দায় স্বীকার করতে নারাজ অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে-স্থানীয় হরিনাথপাড়া,শালবনের বাসিন্দা ও এমপি সমর্থিত গ্রুপের রেজাউল, মতি,আরিফ,রাসেল,সুমন,ছাইদ, জুয়েল,সুমনসহ ১০/১৫ যুবক।

অন্যদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফ,এ ঘটনার সূত্রপাতের ঘটনার কথা তুলে ধরে মেয়র সমর্থিতদের দায়ী করে তাদের উপর পাল্টা হামলার অভিযোগ করেন। এ সময় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সমর্থিত-খতিজা ও নুর বানু নামের ২ নারী পতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে জানিয়ে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তুলে ধরেন।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা আর প্রাঁণের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি স্থানীয় এলাকাবাসী। তবে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের শাস্তি দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী।

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, পৌর এলাকার মধ্যে এ ধরনের হামলার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষিদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি জানিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই মাসুদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।