খালেদার অসুস্থতা বিবেচনায় সময়ের আবেদন মঞ্জুর

অসু্স্থতাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন পুনর্বিবেচনা করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

প্রথমে খালেদা জিয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে আইন অনুযায়ী এখন ৩৪২ (আত্মপক্ষের সমর্থন) গ্রহণ করা হবে বলে আদালত জানান। এরপর আদালত বিরতিতে যান। বিরতি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ফের সময়ের আবেদনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। আদালত এ সময় তা মঞ্জুর করে আগামী ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্য সোমবার সকালে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিতন হন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত বদলির আবেদন শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্ট। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে সময়ের আবেদনটি মঞ্জুর করা হোক।

এর আগে, ২৭ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তিনি শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। সর্বশেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৮ মে খালেদাকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।