গুইমারায় পাহাড় কাটলেও দেখার কেউ নেই!

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পাহাড় ঘেরা পার্বত্য নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি খাগড়াছড়ির গুইমারায় পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে পাহাড় কাটলেও দেখার কেউ নেই!

গুইমারা উপজেলা সদরের পজারর টিলা কলেজ সড়কে নির্বিচারে দেদারছে পাহাড় কাটা হলেও যেন কারই কিছু করার নেই। পরিবেশ আইন থাকলেও তা যেন এই উপজেলায় অসহায় সংশ্লিষ্টদের জন্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুইমারা কলেজের কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তা মাটি কাটার কারনে বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। পাহাড় কাটার কারনে কলেজের রাস্তা থেকে প্রায় ৬০ ফুট গভীর করে কাটা হয় পাহাড়। অথচ এ পাহাড় কাটার কারনেই গত জুন মাসে রাংগামাটিতে অসংখ্য মানুষের প্রানহানির ঘটনা ঘটে।

তারপরও তার নজর নেই খাগড়াছড়ির গুইমারার সংশ্লিষ্ট পাহাড় খোকোদের। গুইমারা কলেজের সামনে কুমেন্দ্র কারবারি পাড়ার কুমেন্দ্র কারবারী নিজেই পাহাড় কাটার কাজে ব্যস্ত। পাহাড় কাটার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কুমেন্দ্র কার্বারী “সরকারী বিধি নিষেধ উপক্ষো করে পরিবেশ আইনকে তুচ্ছ করে বলেন, আমার পাহাড় টাকা দিয়ে আমি কাটছি তাতে কার কি আসে যায়”।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার উপর রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয়রা বলেন তার মেয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় সে তার মেয়ের দাপট দেখিয়ে পাহাড় কাটছেন। সে বর্তমানে কাউকে তোয়াক্কা করছে না। কারণ তার মেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে গুইমারার সুশীল সমাজ থেকে সর্বত্র হইচই চলছে। কিন্তু কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। কেউ কেউ বলেন এ অবস্থা চলতে থাকলে যে কোন সময় রাঙ্গামাটির মত পরিবেশের প্রভাব এ উপজেলায়ও পড়বে।

এ ব্যাপারে গুইমারার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাহাড় কাটার কারনে কলেজের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে আছে। পাহাড় কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

এ ব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, আমি গুইমারা উপজেলায় মাত্র নতুন এসেছি। আমার উপর এখনও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় নাই। আমি দায়িত্ব পেলে যথাযত ব্যাবস্থা করবো।

গুইমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন’ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কুমেন্দ্র কারবারী পাহাড় কাটছেন তা আমি লোকের মুখে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আমি আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

বিডিসংবাদ/এএইচএস