গুইমারায় প্রেস ক্লাব সংগঠন নিয়ে সাইফুলের ষড়যন্ত্র : সাংবাদিদের নিন্দা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: গুইরায় প্রেস ক্লাব সংগঠন নিয়ে চলছে বিজয় টিভির প্রতিনিধি পরিচয় দানকারী এম.সাইফুর রহমানের ষড়যন্ত্র আর তেলেজমাতি। সে কখনো গুইমারা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি,কখনো দক্ষিনাঞ্চল প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক,কখনো ভারতীয় টিভি চ্যানেল তারা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

এবার সে গুইমারায় প্রেস ক্লাব এর কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিগত ২০০৩ সাল থেকে গুইমারায় প্রেস ক্লাবের কমিটি থাকলেও সম্প্রতি সে সাংবাদিক ফোরাম নামের সংগঠনের স্থলে চিঠি দিয়ে নাম পরিবর্তনের নামে উপজেলা প্রেস ক্লাব-গুইমারা করা হচ্ছে বলে বিভ্রন্তী সৃষ্টি করে। এছাড়াও গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাব নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার মিশন মাঠে নেমেছে।

সে দীর্ঘ দিন ধরে গুইমারায় বাল্য বিবাহের নামে চাঁদাবাজী,মেলায় জুয়ার আসর থেকে টাকা উত্তোলন,পাহাড় কাটলে মোটা অঙ্কের উৎখোজ গ্রহণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এ সকল বিষয়ে তার নেতৃত্বাধীন সাংবাদিক ফোরাম সাধারণ মানুষের কাছে অগ্রহণ যোগ্য হয়ে পড়ায় এবার সে গুইমারায় প্রেস ক্লাবের সংগঠন নিয়ে ষড়যন্ত্রে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সে গুইমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে বিভ্রান্ত্রী সৃষ্টি করে চলেছে।

এ ঘটনার জন্য পেশাজীবি বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আলম এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অগণতান্ত্রিক ও নিয়ম বর্হি:ভুত ভাবে সংগঠন ও সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে বলেন, দ্রুত তার এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে গুইমারার পেশাজীবি সাংবাদিকদের সংগঠন গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাব।

বিগত ১ জুলাই ২০১০ সালে গুইমারা সাংবাদিক ফোরাম এর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, গুইমারা ২৪ আর্টিলারী রিজিয়ন ব্রিগেট কমান্ডার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী প্রমূখ। সাংবাদিক ফোরামের সাইন বোর্ডে দেওয়া তথ্য মতে গুইমারা সাংবাদিক ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে।

আবার নতুন করে ০৮ মার্চ ২০১৬ গত বছরেই গুইমারা বাজারে কাশেম মার্কেটে “সাংবাদিক ফোরাম” উদ্বোধন করলেও ১ বছর যেতেই ফোরামকে “উপজেলা প্রেস ক্লাব-গুইমারা” নামে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে সে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে লেঃ কর্ণেল আতিকুল হক চৌধুরীকে গুইমারা সাংবাদিক ফোরাম ও খাগড়াছড়ি দক্ষিনাঞ্চল প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। গুইমারা সাংবাদিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সাইফুর রহমান সজিব নামের একটি পোস্ট করেন। বার বার নানা সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের নামে প্রতারণা ও পেশাজীবি সাংবাদিকদের সংগঠন নিয়ে ভেলকিবাজী অপসাংবাদিকতার অংশ বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত উল্লেখ করে “গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাব” নামে একটি বৈধ প্রেস ক্লাব থাকা সত্যেও আবার একই উপজেলায় নতুন আরেকটি এক প্রেস ক্লাব হতে পারেনা। এবং সাংবাদিক ফোরামের নাম পরিবর্তন করে প্রেস ক্লাবের নাম পরিবর্তনের এমন বিধান কোথাও নেই বলে উল্লেখ করেন “গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাব” নেতারা। এবার প্রশ্ন উঠেছে সে আরো কয়টি সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কয় সংগঠনের সভাপতি হতে চায়?

অপরদিকে,২০০৩ সালে প্রথম গুইমারা প্রেস ক্লাব কমিটি গঠিত হয়। তখন গুইমারা উপজেলা হয়নি। ঐ সময় সভাপতি নুরুল আলম, সাধারন সম্পাদক ফারুক। পরে ২০০৩ সালের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ২০০৬ সালে পুনবায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে নির্বাচিত নুরুল আলম সভাপতি, সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত আব্দুল আলী হয়। ২০১৪ সালে আবার নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। পরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত পেশাজীবি সংবাদকর্মীদের নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, গুইমারা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এম সাইফুর রহমান প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভান্তী সৃষ্টি করছে। এবং মানহানি কর কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এ ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকতে আহবান করা হয়েছে। সেই সাথে তার নেতৃত্বাধীন গুইমারা সাংবাদিক ফোরাম পরিচালনা করাসহ সব ধরনের বির্তকিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। অন্যতাই আইনি পক্রিয়ায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারী জানান।