গুইমারায় মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ

পুজারিদের হুমকি-ধমকি ও বাঁধা,আতঙ্ক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় এবার সনাতন ধর্র্মাবলম্বিদের মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশে প্রচলিত আইনে দলমত নির্বিশেষে নিজ ধর্মের ধর্মীয় নীতি অনুসান করে ধর্ম পালনে নিয়ম থাকলেও গুইমারা বাজারে শ্রী-শ্রী চন্দ্রীমন্দিরে ধর্মীয় পূজারী পূজা করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। ফলে সাধারণ পুজারী ও মন্দির পরিচালনা কমিটি সংশয় দেখা দিয়েছে।

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার শ্রী-শ্রী চন্দ্রীমন্দিরে আশেপাশে অবৈধ দখল করে মন্দিরে পরিবেশ বিঘিœত ঘটনো,ঠাকুর ও মন্দিরে যাওয়া ব্যক্তিদের অপমান জনক আচরণ সহ স্থানীয় একটি মহল্লা মন্দিরে সভাপতি এবং মন্দিরে ভূমি দাতাকে মারধর,হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, ববীরৎ চন্দ্র দেব (বাবু) নিজ নামীয় দানকৃত জায়গা একটি মহল্ল রাতের অন্ধকারে টিনসেট ঘর এবং ল্যাট্রিন তৈরি করে দখলসহ খড়, গাছ, কাঠ দিয়ে মন্দিরে এলাকায় জবর-দখল করে রেখেছে।

এই সব বিষয়ের জানতে গেলে সোনাইয়া সহ তার পরিবার বরগরা ববীরৎ চন্দ্র দেব দে’কে বেদড়ক মারধর করে। এই বিষয়ে গুইমারা থানাকে অভিযোগ করা হয়েছে বলে ববীরৎ চন্দ্র দেব (বাবু) জানিয়েছে। এতে কোন সুস্থ সমাধান না হওয়ায় গুইমারা বাজার কমিটির নিকট দাতার ববীরৎ চন্দ্র দেব একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুইমারা বাজার কমিটি মন্দিরে জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি সিদ্ধান্ত দিলে ও তা মানছে না দখলদাররা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অনিল চন্দ্র দেব (সোনাইয়া)র ছেলে অশোক মন্দিরের জায়গা দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মুলত অভিযোগ কারী বাবুল চন্দ্র দেব আমার চাচা ও অনিল চন্দ্র দেব আমার বাবা। তাদের মধ্যে পারিবারীক ভাবে জমি বিরোধ রয়েছে। আমার চাচা আমার বাবাকে জায়গা না দিয়ে একক ভাবে ষড়ডন্ত্র করে মন্দিরকে জায়গা দান করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে তারই অংশ হিসেবে মন্দির দখলের এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে সে জানায়। তবে এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে এখনো কোন ধরনের মিমাংসা হয়নি।

মন্দির কমিটি শ্রী-শ্রী চন্দ্রীমন্দির সভাপতি নকুল কান্তি দাস অবিলম্বে বাজার কমিটি বিচার অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং মন্দিরে পূজারী ও উপাসকদের উপসনার পরিবেশ সৃষ্টি করা বিষয়ের প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।