চকরিয়ায় শ্যামলীবাস-নোহা গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুসহ নিহত ৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট নোহা গাড়ির মূখোমূখি সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারী শিশু সহ ৩ জন নিহত ও ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম-ককসবাজার

মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলাধীন হারবাং গয়ালমরা এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় দূর্ঘটনাস্থলে নোয়াহ গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে গাড়িটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নোহা যাত্রী মুমিন হোসেন মনু মিয়ার স্ত্রী আফিয়া বেগম(৪২) ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং দূর্ঘটনায় আহত নোহার ড্রাইভার আরিফ (৩১), দুই বছরের শিশু ইয়ামিন কে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।নিহত শিশু ইয়ামিন ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকার বিশ্বাস টাওয়ারের মো: মাছুমের ছেলে। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নিহত নারী ও চালকের ঠিকানা পাওয়া যায়নি।এদিকে গুরুতরু আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। দূর্ঘটনায় হতাহতরা সকলেই একই পরিবারের।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষর্দীরা জানায় ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস (নং-ঢাকা মেট্টো ব- ১১-১২৩৬) ও কক্সবাজার অভিমুখি মাইক্রোবাস নোয়াহ গাড়ি (নং ঢাকা মেট্টো চ -১১-৩৩৮৫) ওই স্থানে পৌছলে দুটি গাড়ির মূখোমূখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে দূর্ঘটনাস্থলে নোয়াহ গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু,অগ্নিদগ্ধ হয়ে মহিলা ও চালক নিহত হয়েছে ।গুরুতর আহত হয়েছে উবয় গাড়ির প্রায় ১৫ যাত্রী। খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

গুরুতর আহতরা হলেন নোয়াহ যাত্রী মুমিন হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা(২৫),মাছুমের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার,সেকান্দর মুন্নার ছেলে সাইফুল ইসলাম, তার মেয়ে সাদিয়া ও তাজরিন,মাসুদের স্ত্রী স্মৃতি ও ছেলে বায়েজিদ,কাজের ভূয়া রুমানা ও ববি সহ ১৫ জন। অন্যান্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সর্জেন্ট মাইদুল ইসলাম জানান দূর্ঘটনায় নিহতদে কে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি হাইওয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।