চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা থেকে ভারতীয় ছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তার আরেক স্বদেশি সহপাঠীকে।
তারা দুজনই চট্টগ্রামের বেসরকারি ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাতে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ হামিদ জানান। আসিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহত আসিফ শেঠ (২৬) এবং আহত উইলসন (২৬) নগরীর আকবর শাহ থানার  ফয়েসলেকস্থ আবদুল হামিদ সড়কের বিলকিস ম্যানসন নামে একটি ভবনের এক কক্ষে থাকতেন এবং ওখানেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।

হামিদ বলেন, ইউএসটিসির আরেক ভারতীয় ছাত্র নিরাজ গুরু শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ওই দুজনকে হাসপাতালে আনেন। নিরাজ তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে আসিফ ও উইলসনের পাশের কক্ষে থাকেন।

“নিরাজ বলেছে, আসিফ ও উইলসন শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের কক্ষে মদ্যপান করছিল। ১২টার দিকে ওই কক্ষ থেকে শব্দ পেয়ে তিনি কক্ষটি খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

“এক পর্যায়ে তিনি বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে উইলসনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে উইলসনকে নিচে নামান। এ সময় আসিফকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।”
পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনেন বলে নিরাজ জানিয়েছেন।

আকবর শাহ থানার এসআই জসিমউদ্দিন জানান, ওই বাসায় যে চারজন থাকতেন তারা সবাই ভারতের মণিপুরের বাসিন্দা। তবে তারা কে কোন বিভাগের কোন বর্ষের ছাত্র তা জানা যায়নি। কীভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে এসআই জসিম জানিয়েছেন।

এদিকে আজ শনিবার ভোর ৪টায় ঘটনাস্থল থেকে আকবর শাহ থানার অপর এস আই জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএসটিসির কাছেই ফয়’স লেক আব্দুল হামিদ সড়কের “বিলকিস ম্যানসন” নামে ভবনের একটি কক্ষে ভাড়ায় থাকতো ভারতীয় দুই শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে তারা রুমে বসে দরজা বন্ধ করে মদ পান করে। পরে দুজন মাতালবস্থায় মারামারি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে আঘাত করে।

তাদের শোর চিৎকারে ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে ভীতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এবং দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে রক্তাক্ত আসিফ শেঠকে মৃতুবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। এছাড়া উইলসনকে রশির সাথে ঝুলন্ত বস্থায় উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুই তরুণকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অসিফকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।