চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেডে অসহনীয় যানজট!

বিকল্প সড়কগুলো দ্রত খুলে দেয়ার দাবী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

প্রতিনিয়ত সীমাহীন যানযটে জিম্মি পয়ে পড়েছে নগরীর পতেঙ্গা-হালিশহর ইপিজেড এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টায় যানজটে আটকা পড়ে অপচয় এবং ক্ষতি সম্মুখিন হচ্ছে শ্রমজীবি অফিসাগামী মানুষ এবং স্কুল কলেজের ছ্ত্রাছাত্রীরা।

যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ এর থেকে মুক্তিপেতে শেষ পর্যন্ত রাস্তয় নেমেছে। সভা-সমাবেশ এবং জনজট  নামে আন্দোলন শুরু করেছে।

দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় পড়ে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন নগরী হিসেবে ছিটমহলবাসীর মত ভাগ্য বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন নাগরিক পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট জানে আলম। তিনি দূঃখ প্রকাশ করেন যে, ৫/১০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে দেড়-দুই ঘন্টা সময় লাগে এবং যার ফলে উৎপাদন, ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা-চিকিৎসা সেবা, বিদেশ যাত্রা-পর্যটন ভ্রমন নাগরিক জন-জীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিয়মিত কার্যক্রম। দিনদিন এই যট ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে সমস্ত এলাকার অলি-গলিতে প্রভাব পড়ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কারো যেন গরজ নেই।

যানযট নিরাসনের দাবিতে সিইপিজেড মোড়ে বিশাল মানববন্ধন (জনজট) কর্মসূচি পালন করে নাগরিক পরিষদ।

দীর্ঘদিন সীমাহীন যানজটে সম্প্রতি পতেঙ্গা-ইপিজেড এলাকার মুনুষ যানযট নিরাসনের দাবিতে সিইপিজেড মোড়ে বিশাল মানববন্ধন (জনজট) কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা এ অঞ্চলের বিকল্প সড়ক গুলো খুলে দিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা ও ইপিজেডের ভয়াবহ যানযট রোধ করা যায়। এছাড়া দিনের অধিকাংশ সময়ে বন্দরের ডিপোতে যাওয়া ট্রাংক-লরী, কন্টেইনার-এভিকল ভারী গাড়ীগুলো যেখানে-সেখানে পাকিং করে এবং ট্রাফিক পুলিশ অনৈতিক ভাবে গাড়ী থেকে টোল গ্রহনেই অসহনীয় যানযটের জন্য দায়ী বলে উপস্থিত জনগণ দাবি করেন্ ।

নাগরিক পরিষদের অন্যান্য বক্তারা বলেন, বন্দর-চসিক, সিডিএ, বেপজা, ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে ট্রাফিক সিস্টেম পরিবর্তন এনে যানযট নিরাসন কিছুটা দূরীকরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন।

তারা আরো বলেন, এই মানববন্ধনে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের দৃষ্টিকার্ষন করে যানযট নিরাসনে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন, পতেঙ্গা এলাকা থেকে ডিপো সরানো, নৌবাহিনীর দখলকৃত সড়কটি খুলে দেয়া, সিইপিজেড-রেল লাইন দিয়ে বিকল্প রোড খুলে দেয়া,ফিডার রোড দ্রত চাল করন,রাস্তার পাশে অবৈধ ডাস্টবিন সরানোর জোর দাবি জানান।

নাগরিক পরিষদ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান যে, শীঘ্রই এই জন দাবি মেনে না নিলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দিবেন বলে হুমকি দেন আহবায়ক এডভোকেট জানে আলম।

বন্দর-পতেঙ্গা রোডের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক (টিআই) পুলিশ এম এ কাশেম জানান, আমরা অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে রোড ন্য়িন্ত্রন নিরালস কাজ করছি,তবে চট্রগ্রাম বন্দরের অস্বভাবিক গাড়ী, ট্রেংক-লরী,কভারভ্যান যত্র-তত্র চালিয়ে বেশ কিছু সময়ে সড়কে যট লেগে থাকে, বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা চালু হলে সেই সমস্যা লাঘব হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা নিউমুরিং মোঃ হারুন রশিদ ও এম .এ তাহের বলেন, বহু বছর ধরে নিউমুরিং হয়ে পতেঙ্গা থেকে শহরে যাওয়ার সড়কটি নৌবাহিনী কর্তৃক বন্ধ থাকায় এদিকের যানযট অনেকাংশে বেড়ে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। সকালে প্রাত ভ্রমন ও বিকেল জগিং করার সময় যেন,যটেযটে চঠে উঠে মানষিক অশান্তি। এর থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য দ্রত বিকল্প সড়ক গুলো খুলে দিলেই কিছুটা লাঘব হবে।

ইপিজেডের ভয়াবহ যানযট নিরাসনে, সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির ও পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার গত কয়েক দিন পূুর্বে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সাথে নগর ভবনে জরুরী সভায় বলেন, পুরোতন ও রেজি:বিহীন গাড়ী না চালানোর জন্য এবং জেলার গাড়ী জেলা আর মেট্রোর গাড়ী মেট্রোতেই চলতে ট্রাফিক বিভাগ কে জোর নিদের্শ দেন। এছাড়া সড়কের পাশে অবৈধ দোকান পাট/ফুটপাতে হকার উচ্চেদ চলমান রাখতে পরিচ্ছন্ন বিভাগ আদেশ দেন।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা শহিদুল আলম বলেন, অসহনীয় যানযটের জন্য বন্দর-চসিক, সিডিএ, বেপজা, ট্রাফিক বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগেই দ্রত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস্থ্য করেছেন।###