চট্টগ্রামে মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে আগ্রাবাদে ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে কে বা কারা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আজ রবিবার ভোরে সংগঠিত এ ঘটনার প্রতিবাদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সকাল সাড়ে ৮ থেকে সকাল সোয়া ১০ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিকাশ সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। কারা ভেঙ্গেছে তা চিহিৃত করা যায়নি। আমি ঘটনাস্থলে আছি।

ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের চিহিৃত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকশ লোক রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার কারণে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা সড়কে অন্তত ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ১০টার দিকে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মন্দিরে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় তারা।

গোসাইলডাঙ্গা (বারিক বিল্ডি এর মোড়) এলাকায় অবস্থিত গোসাইলডাঙ্গা সার্বজনীন তপোবন শ্রী গুরু মন্দিরের (শিব মন্দির) পরিচালক দেবজিৎ শীল শিবু জানান ভোরের দিকে কে বা কারা মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কে বা কারা মন্দির ভেঙেছে তা তিনি বলতে পারেন নি।
তবে এলাকার লোকজন জানান, বাইরের থেকে মন্দিরে ঢুকে কেউ হামলা করেনি। ধারণা করা হচ্ছে মন্দির পরিচালনা বা অন্য কোন বিরোধের জের ধরে এ হামলা ঘটে থাকতে পারে।

সিএমপির বন্দর জোনের এসি কামরুল হাসান জানান, অপরাধীদের চিহিৃত করে গ্রেফতারে আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি কারা এ হামলা ঘটিয়েছে।

এদিকে মন্দিরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করেছে শুক্কুর (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আজ রবিবার বিকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারী পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আটক যুবক মানষিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে।
তার কাছ থেকে ভাঙচুর করে নিয়ে যাওয়া একটি ত্রিশূল উদ্ধার করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির বন্দর জোনের এসি কামরুল হাসান। তিনি জানান, আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে কেউ কোন ধরণের উদ্দেশ্যে করে মন্দিরে হামলা ভাঙচুর করেনি। মানষিকভাবে অসুস্থ্ এ যুবক নিজ থেকেই ভাঙচুর করেছে। তবে তার কথা বার্তা অসংলগ্ন। একেক সময় সে একেক কথা বলছে। তারপরও আমরা এ হামলা ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। আটক যুবক শুক্কুরের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার খরমপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মতিন বলে জানায়।