চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণ পরিবারে নতুন অতিথির আগমন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ  বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ফয়’স লেকের একমাত্র চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণের খাঁচায় নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে।

গত শুক্রবার বিকালে চিড়িয়াখানার একমাত্র মায়া হরিণটি একটি শাবকের জন্ম দেয়।  চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে ছোট জাতের হরিণ হচ্ছে মায়া হরিণ।

সিলেটের লাউয়াছড়া, চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ড, চুনতি, কক্সবাজারের চকরিয়া এবংপার্বত্য চট্টগ্রামে এ জাতের কিছু হরিণ থাকলে ও এখন বিলুপ্তপ্রায়। বছর দুয়েক আগে এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় মিরসরাই এলাকা থেকে একটি স্ত্রী মায়া হরিণ এনেছিল। আমরা সেটিকে সুস্থ করে আগে থেকে বেষ্টণীতে থাকা দুটি পুরুষ মায়া হরিণের সাথে রাখি। একপর্যায়ে সেটি গর্ভধারণ করে।

গত শুক্রবার বিকালে সেটি একটি শাবক জন্ম দেয়। তবে সেটি এখনো পুরুষ না স্ত্রী তা দেখা যায়নি। সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।

১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক প্রজাতির দেশিবিদেশি পশুপাখি রয়েছে। মায়া হরিণ ছাড়াও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্রা ও সাম্বার হরিণ রয়েছে। সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছে। বর্তমানে চিত্রা পরিবারে সদস্য ১২।

সাম্বার হরিণজোড়া ২০০৫ সালে ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৫ সালের দিকে মায়া হরিণ আসে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। নতুন শাবকসহ এ পরিবারে সদস্য ৪টি উন্নীত হলো।