চট্টগ্রাম বোর্ডের অধিনে প্রথম চট্টগ্রাম কলেজ, দ্বিতীয় মহসিন কলেজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ফলাফলে এবারও তৈরি হয়নি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা-২০ ও সেরা-১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

২০১৫ সাল থেকে কেবল জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে আসছে শিক্ষাবোর্ড। কেবল জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বিবেচনায় তালিকাটি তৈরি করা হয় বিধায় তালিকায় ঠাঁই পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন ভাবেই সেরা বা প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে গণ্য করা যাবে না বলে জানান শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য ১০টি কলেজের ফলাফল :

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ : চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে অংশ নেয়া মোট ৮৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৯৯ জন। পাসের হার ৯৪.৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯১ জন। গতবার কলেজটির ৯৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ৮৯৪ জন। জিপিএ-৫ পায় ৪৬৯ জন। পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

মহসিন কলেজ : সরকারি হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এবার অংশ নেয় ১ হাজার ৫৩৭ জন পরীক্ষার্থী। পাস করে ১ হাজার ৪৫৭ জন। হিসেবে কলেজটির ৯৪.৮০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এবার। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৮ জন। গতবার কলেজটির ১ হাজার ৫৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১ হাজার ৪৯১ জন। জিপিএ-৫ পায় ৪৩৪ জন। পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

চিটাগাং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ : কলেজটি থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৭২৪ জন। পাস করেছে ৭১৩ জন। পাসের হার ৯৮.৪৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২১ জন। গতবার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ৭৬৪ জন। জিপিএ-৫ পায় ২১৭ জন। পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

সরকারি সিটি কলেজ : চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে অংশ নেয়া ১ হাজার ৯৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার পাস করেছে ১ হাজার ৭১৪ জন। পাসের হার ৮৭.৮৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০১ শিক্ষার্থী। গতবার ১ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১ হাজার ৭২৬ জন। জিপিএ-৫ পায় ১৯৮ জন। পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

সরকারি কমার্স কলেজ : চট্টগ্রাম সরকারি কর্মাস কলেজ থেকে এবার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৫৮ জন। পাসের হার ৯৯.২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন। গতবার ৮০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ৭৯৫ জন। পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ২০৫ জন।

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ: এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি-ই এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ পাস করা একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি থেকে এবার অংশগ্রহণ করা ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর শতভাগই পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন। গতবার ৪৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৯ জনই পাস করে। আর সব পরীক্ষার্থী-ই জিপিএ-৫ পায়।

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ : কলেজটির এবার ৯৫৩ পরীর্ক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৯৯ জন। পাসের হার ৯৪.৩৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জন। গতবার কলেজটির ৮৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ৮৩৬ জন। পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ৬১ জন।

কক্সবাজার সরকারি কলেজ : কলেজটি থেকে এবার অংশ নেয়া ৮৮৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮২৩ জন। পাসের হার ৯৩.২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন। গতবার কলেজটির ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ৭৭৪ জন এবং জিপিএ-৫ পায় ৬০ জন। পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ : কলেজটি থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১ হাজার ৪৬৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৩২৭ জন। পাসের হার ৯০.৩৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন। গতবার ১ হাজার ৩২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ৫২ জন। পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ : কলেজটির এবার ৬৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১৩ জন। পাসের হার ৯৩.৭৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন। গতবার ৬৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ৬৪৯ জন। জিপিএ-৫ পায় ৬৪ জন। পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।