ঝিনাইদহে এবার ১২ বছর বরখাস্ত থাকা নকল নবীশকে অর্থের বিনিময়ে পুনর্বহাল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে বারো বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকা শরিফুল ইসলাম নামে একজন নকল নবীশকে পুনর্বাহাল করে বেপরোয়া আর্থিক বানিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহের সাবেক ও বর্তমানে বাগেরহাট জেলা রেজিষ্টার বীর জ্যোতি চাকমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিকার চেয়ে ঝিনাইদহ জেলার নকল নবিশরা জেলা রেজিষ্টার আব্দুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে নারী কেলেংকারী ও শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। ফলে তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত নকল নবিশের কর্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন। তিনি এই দীর্ঘ সময়ে হরিণাকুন্ডুর চারাতলা সুলতানা মাধ্যমিক বিদ্যলয়ে শিক্ষকতাও করেন। পরে তিনি হরিণাকুন্ডু সব রেজিষ্ট্রি অিফিসে তার ভাইয়ের স্ট্যম্প ভেন্ডারের ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং দলিল লেখার লাইসেন্স করেন, যার লাইসেন্স নং ৭১।

অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের সাবেক জেলা রেজিষ্টার বীর জ্যোতি চাকমাকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ১২ বছর পর তিনি নকল নবিশ পদে পুর্নবহাল হয়েছেন। এ জন্য ১০ লাখ টাকার ঘুষ লেদদেন হয়েছে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে নকল নবিশ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শরিফুল ইসলাম দলিল লেখক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন, যা রেজিষ্ট্রেশন আইন পরিপস্থি।

২০১৬ সালের ১৮ মে শরিফুল ইসলাম ১৪৮১ নং দলিল নিজ হাতে সম্পাদন করেন বলে জানা গেছে। রেজিষ্ট্রেশন আইনে আরো বলা হয়েছে, কোন নকল নবীশ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার নকল রবীশ পদবী ও জ্যেষ্ঠতা বিলীন হয়ে যায়। অভিযোগ পত্রে জেলার প্রায় ১২৭ জন নকল নবীশ সাক্ষর করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে জেলা রেজিষ্টার বীর জ্যোতি চাকমা হরিণাকুন্ডু অফিস থেকে হারিয়ে যাওয়া ৪টি দলিল দিন তারিখ ও দলিল নং উল্লেখ করে চাওয়ায় নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দলিল সেরে রেখে কর্মচারীদের হয়রানী করা হচ্ছে ?