ঝিনাইদহে ভবন নির্মাণের শুরুতেই গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিনের টেন্ডার জালিয়াতি ফাঁস !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে মহিলা কয়েদীদের জন্য ভবন নির্মাণের শুরুতেই টেন্ডার জালিয়াতির করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আল আমিনের বিরুদ্ধে। মেসার্স সাথী কনসট্রাকশনের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গত ১১ মে মে গণপূর্ত বিভাগে ঝিনাইদহ জেলায় ৯৮১০৯ আই,ডি তে মেসার্স জাকাউল্লা এন্ড ব্রাদার্স, মেসার্স সাথী কনসট্রাকশন, এম ডি মিজানুর রহমান ও রফিক কনসট্রাকশন কম লিঃ টেন্ডার জামা দেয়। অ

ফিস অনুযায়ী মোট মূল্য ছিল ৮৬,৬০,২৩৫ টাকা সেই অনুযায়ী রেট দেয় যথাক্রমে মেসার্স জাকাউল্লা এন্ড ব্রাদার্স ৭৭৯৪২১.৫০ টাকা, মেসার্স সাথী কনসট্রাকশন ৭৭,৭২,৯২৯.৪২০ টাকা, এম ডি মিজানুর রহমান ৭৫,১৩,৩৬২.৪০০ টাকা ও রফিক কনসট্রাকশন কম লিঃ ৭৭৯৪২১.৫০ টাকা।

দেখা যায় সিডিউল অনুযায়ী মেসার্স সাথী কনসট্রাকশন ও অন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাথী কনসট্রাকশন কাজ পাওয়ার কথা। কারন এম ডি মিজানুর রহমানের রেট সিডিউল বা ইস্টিমেট রেটের কোনটার আওতায় পড়ে না। এই অবস্থায় ঝিনাইদহ গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ৯৮১০৯ আই,ডি টেন্ডারটি বাতিল করে দিয়ে রি-টেন্ডার করে দেয় যার যার আই ডি নং ১০৫৪৬৫। গত ৪ ঠা জুন রি-টেন্ডার হওয়ার পর সেখানে দেখা যায় মিজানুর রহমানের বানানো আগের সিডিউলটি পুনরায় দেখা গেল নির্বাহী প্রকৌশলী রি-টেন্ডারের সিডিউল বানিয়েছে। যার একটি রেট মিজানুর রহমানের বানানো রেট পুনরায় ৭৫,১৩,৩৬২.৪২০ হয়েছে ও লিটন টেড্রাস একই রেট দিয়েছে।যিনি গত টেন্ডারের টেন্ডার ড্রপ করেননি। যে রেটটি গত টেন্ডারের সিডিউল এবং ইস্টিমেট অনুযায়ী ছিল না। ঐ রেটটিই এবার সিডিউল হয়েছে। এবার সাথী কনট্রাকশন অফিস ইস্টিমেট অনুযায়ী রেট দিয়েছে যা রেট হয়েছে ৭৭,৯৭৭,৯৪,২১১ টাকা।

মেসার্স সাথী কনসট্রাকশন আরও জানান মিজানুর রহমান রেট দেয় ৭৫,১৩,৩৬২.৪০০ টাকা যা সিডিউল বা অফিস ইস্টিমেড এর কোনটার আওতায় পড়ে না উনি ঝিনাইদহের সবচেয়ে বড় ঠিকাদার। তার এরকম ভুল করার কথা না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় মিজানুর রহমানের দেয়া নিজের সিডিউল অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে নির্বাহী প্রকৌশলী ৯৮১০৯ আই,ডি টেন্ডারটি বাতিল করে দিয়ে রি-টেন্ডার করে দেয়। সেখানে দেখা যায় মিজানুর রহমানের বানানো আগের সিডিউলটি পুনরায় দেখা গেল ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী রি-টেন্ডারের সিডিউল বানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১লা জুন এই টেন্ডারের ব্যাপার নিয়ে ঝিনাইদহ গণপূর্ত অফিস ভাংচুর ও মহিলা সহ ৩ কর্মী লাঞ্ছিত হয়। এই মর্মে ঝিনাইদহ সদর থানায় রাশিদা সুলতানা নামের এক গণপূর্ত অফিস সহকারী অভিযোগ করলে পুলিশ আশরাফুল নামে একজনকে গ্রেফতার করে পরে গভীর রাত্রে ছেড়ে দেয়। এ সময়ে গনপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিনের কাছে হামলার কারন টেন্ডার কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এ সময়ে গনপূর্ততের কোন টেন্ডার নেই। কিšুÍ জানা গেছে, গত১ লা জুন থেকেই টেন্ডারের সিডিউল বিক্রয় হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আল আমিনের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।