ঝিনাইদহে শ্রমিক নেতা হুমায়ূন কবীর মিঠুকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ

শ্রমিক শ্রমিকদের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সাদা পোষাকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে হুমায়ুন কবীর মিঠু (৪৮) নামে এক শ্রমিক নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর খুজে পাওয়া যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকার পবহাটী গ্রাম থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি পবহাটী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীর মিঠুর স্ত্রী নাসিমা বেগম বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। যার জিডি নং ১২১৭।

এদিকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঝিনাইদহ বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হুমায়ুন কবীর মিঠুকে অক্ষত অবস্থায় তার পরিবারের কাছে ফেরৎ না দিলে ২৪ ঘন্টা পর কঠোর কর্মসুচি ঘোষনার হুসিয়ারী দিয়েছেন ঝিনাইদহ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ন সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষনা দেওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি একরামুল হক লিকু।

ঝিনাইদহে শ্রমিক নেতা হুমায়ূন কবীর মিঠুকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজএ সময় শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওলিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক দাউদ হোসেন, বাসমিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাগর, আবু সাঈদ, নিখোঁজ হুমায়ুন কবীর মিঠু স্ত্রী নাসিমা বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া মেয়ে তানিয়া সুলতানা, ছেলে রাহাত কবীর, বাবা আব্দুল মান্নান ও মা মরিয়ম বেগম উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেরনে বলা হয়, গত ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে ৭/৮ জন অজ্ঞাত লোক নিজেদের প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।

এ সময় তারা বাব মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রোকনুজ্জামান রানুর বাসা চিনিয়ে দেওয়ার কথা বলে হুমায়ুন কবীর মিঠুকে নিয়ে যার। গত দুই দিনেও মিঠু ফিরে আসেনি। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে তারা মিঠুকে অক্ষত উদ্ধারের দাবী জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি একরামুল হক লিকু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডেকেছি।

আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হুমায়ুন কবীর মিঠুকে তার পরিবারের কাছে অক্ষত ভাবে ফিরিয়ে না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। আর এই ঘটনাটি ঘটলো র‌্যাবের সমাবেশে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, অযাথা কেও যাতে হয়রানী না হয় তার একদিন আগে।