টেকনাফে দিনমজুরকে অমানবিক নির্যাতনের পর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে প্রতিপক্ষ !

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে এক দিনমজুরকে ক্ষেত থেকে ধরে অমানবিক নির্যাতনের পর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন ।

শুক্রবার বিকাল ৫ টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতলি ঘোনার ক্ষেতে এঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে দেশীয় তৈরি একটি কাটা বন্দুক দিয়ে হোয়াইক্যং ফাুঁড়িতে তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার পাশাপাশি সাধারণ লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পরস্পর আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে সংঘাত ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ইতোপূর্বে মারামারির ঘটনায় দুইজন আসামী জেল হাজতেও রয়েছে। এরই জেরে এই ঘটনা বলে দাবী এলাকাবাসির।

এলাকাবাসি ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, নিত্য দিনের মতো শুক্রবারও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়ার মৃত আনুমিয়ার দিনমজুর ছেলে জয়নাল আবেদীন পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া তুলাতলি ঘোনায় ক্ষেতে কাজ করছিল। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ নিয়ে পরস্পর আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে সংঘাত ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে বিকাল ৫টার দিকে একই এলাকার মোক্তার আহাম্মদের ভাই ছলিম সহ ২০/৩০ জন ব্যক্তি দিনমজুর জয়নাল আবেদীনের উপর হামলা চালায়। তাকে অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়।

দিনমজুরের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্বামীকে ক্ষেতে কাজ করার সময় ধরে বেদম মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ৮টার দিকে একটি দেশীয় তৈরি অকেজো কাটা বন্দুক সহ আহত তার স্বামী জয়নাল আবেদীনকে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশের নিকট সোর্পদ করে।
একই কথা জানিয়েছেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার রাকিব আহম্মদ।

তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় গত বছর শেষে দিকে প্রতিপক্ষ মোক্তার আহম্মদ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় জয়নালের এক ভাই মোঃ হোসেন বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছে। শুক্রবার দিনমজুর জয়নালকে বেদম নির্যাতনের পর একটি অস্ত্র দিয়ে পুলিশের নিকট সোর্পদ করেছে এটা এলাকার শতশত মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনাটি সুষ্টু তদন্তের দাবী করেন।

এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির এসআই নির্মল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন অস্ত্রসহ জয়নালকে ফাঁড়ি সোর্পদ করেছে। জয়নালের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও ধৃত জয়নাল একটি নিয়মিত মামলার আসামী এবং রাতেই পুলিশ তাকে টেকনাফ থানায় নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়গুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।