ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শুরু হচ্ছে ‘আর ইউ নেক্সট স্টার্টআপ চ্যাম্পিয়ন’র ৪র্থ পর্ব

বিডিসংবাদ ডেস্কঃ  দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে, বেকার সমস্যা সমাধানে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে প্রচুর উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নতুন বিভাগ চালু করা থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা উন্নয়নে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির “এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ” বিভাগ ‘Are You the Next Startup Champion?’ শিরোনামে আগামী পাঁচ বছরে “৫০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরী”র প্রকল্প হাতে নিয়েছে।  এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশ থেকে বাছাই করা যোগ্য এবং উদ্যমী তরুণ-তরুণীদের পূর্নাঙ্গ বৃত্তিসহ সফল উদ্যোক্তা তৈরী করা পর্যন্ত  প্রয়োজনীয় নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আজ ২১ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বিশবিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘Are You the Next Startup Champion’ এর চতুর্থ পর্বের  আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।  ৫০০ (এর মধ্যে ৩০% মহিলা) নতুন সফল উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিভিন্ন ধাপ ও প্রক্রিয়াসমূহ সাংবাদিকদের মাধ্যমে গণমাধ্যমে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচীর বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান , স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ বিভাগের প্রধান শিবলী শাহরিয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘Are You the Next Startup Champion?’ হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির “এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ” বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুন ঝঃধৎঃঁঢ় ও উদ্যোক্তাদের  খুঁজে বের করার জাতীয় মেধা অন্বেষণের উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিটি বিজয়ীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বা ব্যবসায়িক ভাবনাসমূহকে উদ্ভাবন করে পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত ও সঠিক গন্তব্যে পরিচালিত করবে।

‘অৎব ণড়ঁ ঃযব ঘবীঃ ঝঃধৎঃঁঢ় ঈযধসঢ়রড়হ?’এর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিজয়ীদের জন্য চার বছরের স্নাতক (সম্মান ) কোর্সে অধ্যায়নের সুযোগ তৈরী করা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিবিঢ় গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র যথাযথ জ্ঞান ও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে অনেক ঝঃধৎঃঁঢ় বা উদ্যোক্তারা সফলভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এ কর্মসূচীর আওতায় একটি স্বতন্ত্র প্লাট  ফর্মের মাধ্যমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির “এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ” বিভাগের অধীনে  হাতে –কলমে কাজ শিখতে শিখতে অপেশাদার উদ্যোক্তারাও প্রশিক্ষিত ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ পাবে।  সম্ভাবনাময় ও আশাপ্রদ বিজয়ী উদ্যোক্তাদের  চার বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্সে অধ্যায়নকালে ১০০% বৃত্তি প্রদান করার পাশাপাশি ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় শিক্ষা প্রদান করা হবে যা তাদেরকে চার বছরের শিক্ষা জীবনে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত করবে। অধিকন্তু এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি শিক্ষার্থী অধ্যায়নকাল থেকেই কিছু কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবে যা তাদের নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে মূলধন হিসেবে কাজ করবে। এবং ব্যবসাখাতে তাদের সম্পৃক্ততাকে নিশ্চিত করবে। সত্যিকার অর্থে এ প্রকল্প উদ্যোক্তা তৈরী ও দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীর মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে  জাতীয় প্রবৃদ্ধি উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

প্রকল্পের মূল লক্ষ্যঃ
যুবসমাজকে উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে মূলধারার সাথে সমন্বিত করে শিক্ষত বেকারদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে  আমাদের দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ
১.    একুশ শতকের জন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করা।
২.    নতুন উদ্যোগ বা ব্যবসা শুরু করতে উদ্যোক্তাদের সাহায্য করা।
৩.    নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে ‘উদ্যোক্তা’ বিষয়ে মৌলিক ধারনা সৃষ্টি করা।
৪.    অংশগ্রহণকারীদের  উদ্যোক্তা দক্ষতা বৃদ্ধিতে মূল্য সংযোজন করা।
৫.    অংশগ্রহণকারীদের পারদর্শিতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা
৬.    নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা।
৭.    দেশের প্রথিতযশা অগ্রনী তারকা ব্যবসায়ীদের পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করা
৮.    সম্ভাবনাময়  স্টেকহোল্ডারদের নতুন উদ্যোক্তা তৈরীতে অবদান রাখার সুযোগ তৈরী করে দেয়া।
৯.    সর্বোপরি, উদ্যোক্তাদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে  গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে সহায়তা।

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনসহ দেশের খ্যাতনামা ব্যাংক এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ  এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছেন যা চূড়ান্ত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ঘোষনা করা হবে। বিজয়ীরা তাদের চার বছরের স্নাতক অধ্যায়নকালীন সময়ে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি  বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবে যা তাদের  সফল উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। মহিলা উদ্যোক্তা, শারীরিক প্রতবিন্ধী ও বিশেষ দক্ষতাসম্পন্নদের জন্য ৩০%  কোটা নির্ধারিত থাকবে।
ক্যাপশনঃ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির “এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ” বিভাগের উদ্যোগে ৫০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে ‘অৎব ণড়ঁ ঃযব ঘবীঃ ঝঃধৎঃঁঢ়?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার।

নির্বাচন পদ্ধতিঃ-

অনলাইনে দরখাস্ত আহবান শুরুঃ                        ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
অনলাইনে দরখাস্ত জমা দেওয়ার শেষ তারিখঃ           ০৬ জানুয়ারি ২০১৮
নির্বাচিত প্রার্থীদের অবহিত করণঃ                        ০৭-০৮ জানুয়ারি ২০১৮
আইস ব্রেকিং  ও গ্রুমিং সেশনঃ                        ১০-১৪ জানুয়ারি ২০১৮
চূড়ান্ত নির্বাচন পর্বঃ                                     ১৫ জানুয়ারি ২০১৮
বৃত্তি প্রদান ও ভর্তিঃ                                    ১৬ জানুয়ারি ২০১৮
ক্লাস ও কার্যক্রম শুরুঃ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮