থানা পুলিশ-ডিবিকে নিয়মিত উৎকোচ দিয়ে না’গঞ্জ শহরে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর!

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে শহরের কেন্দ্রীয় রেল ষ্টেশনের পিছনে জমজমাট জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই জুয়ার আস্তানায় জুয়া খেলে অনেক মধ্যম ও নিম্ন আয়ের লোক নি:স্ব হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। প্রশাসনের সহায়তায় শহরের বুকে বাঁশ ত্রিপল দিয়ে স্থায়ী আস্তানা নির্মাণ করে জুয়ার আড্ডা চালনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কার কাছে অভিযোগ করবে-এই ভেবে হতাশ নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন লোক কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে জুয়া খেলছে। আর জুয়ারীদের পাহাড়ায় চারপাশে দাড়িয়ে রয়েছে আড্ডা পরিচালনা কারীদের একটা দল। সাংবাদিকের ক্যামেরা অতর্কিতে ছবি তোলা শুরু করলে পালিয়ে যেতে থাকে জুয়ারীরা। জুয়ার আড্ডা পরিচালকদের কয়েকজন দৌড়ে আসেন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে। এ সময় তারা নানা হুমকিও দিতে থাকেন।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেল ষ্টেশনের কয়েকজন দোকানদারের অভিযোগ, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে এখানে প্রকাশ্যে জুয়ার আড্ডা চলে আসছে। প্রশাসনকে টাকা না দিয়ে তা কি করে সম্ভব। জুয়ারীরাতো বাঁশ ত্রিপল দিয়ে স্থায়ী আস্তানা বানিয়ে নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ এখান থেকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। তাই তারা কোন স্থায়ী সমাধান করেন না। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দু-চারটাকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে দেয়। তারা জামীনে বের হয়ে এসে আবারও শুরু করে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড। আগে প্রশাসনকে সৎ হতে হবে। তাহলেই এখান থেকে জুয়ার আড্ডা সরানো সম্ভব হবে,  নয়তো কোনদিনও নয়। আমরা এখান থেকে নি:স্ব হয়ে কাঁদতে কাঁদতে কতো মানুষকে বের হয়ে যেতে দেখেছি!।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান পুলিশের নিয়মিত মাসোহারার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, পুলিশ কোন টাকা পায় না। আমরা আজই এটা বন্ধে অভিযান চালাবো।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ডিবি পুলিশের মাসোহারার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, আমরা যদি মাসোহারা নিতাম তাহলে ১০/১২ দিন আগে এই আড্ডায় অভিযান চালিয়ে পুরো আস্তানা ভেঙ্গে দিয়ে আসামীদের কোর্টে চালান করতাম না। আমরা আজই আবার সেখানে অভিযান চালাবো। তবে আপনারা সদর থানায়ও একঠু নক করেন। তাদেরও দায়িত্ব আছে। তাদের থানার সামনে এই ঘটনা ঘটছে, তারা কি এই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন না!।