দিনাজপুরে বিদ্যুতে ধ্বস নেমেছে।

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: না আর সহ্য হয় না !  তীব্র গরমে অস্থির জনজীবন। দিনাজপুরে বিদ্যুতে ধ্বস নেমেছে। জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ। মিল-কলকারখানায় উৎপাদনে চরম বিপর্যয়। কোল ষ্টোর গুলোতে রক্ষিত পন্য হুমকির মুখে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অপারক। আবাসিক এলাকা , সেবামুলক প্রতিষ্ঠান সহ সকল  প্রতিষ্ঠান গুলো চরম বিপাকে পড়েছে। জেলায় গরমের মাত্রাটা যাই হোক বিদ্যুতের লোড শেডিং অসহনীয় হয়ে উঠেছে। লোড শেডিং বেড়েছে কয়েক গুন। সামনে পবিত্র রমজান মাস। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় গড়ে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। সামান্য বাতাস বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে সারাদিন।

বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানান, মানদাত্তা আমলের সামগ্রী এখনো বিদ্যুৎ লাইনে চলছে। এসব সামগ্রীর কোন লাইফ নাই। ফলে সামান্য ঝড় হলেই চরম ভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। বিদ্যুৎ লাইনে ব্যবহৃত সকল সামগ্রী পরিবর্তন করা ছাড়া বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। লাইনে নতুন আধুনিক সামগ্রী সংযোজন না করলে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছুই করার থাকবে না। সর্বক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা হলেও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ঘন ঘন বিপর্যয় ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে আর কিছু দিন পর চরম বিপর্যয় ঘটার আশংকা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ অফিস গুলোতে ফোনদিলে তাদের রিসিভার তুলে রাখেন যার ফলে যেকোন মহূর্তে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে জানাণো সম্ভব হয় না এবিষয়ে জানতে চাইলে  বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এরিয়ে যান ।

এছাড়া বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।একে অসহনীয় গরম, তারপরে আবার বিদ্যুতের মারাত্বক লোডশেডিং অতিতের সকল রেকট ভঙ্গ করে লোডশেডিং বাড়ছেই। সাথে সাথে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বিশেষ করে শিশুদের জন্য মারাত্বক বিপদজনক। ভ্যাপসা গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

বিউবো দিনাজপুর অফিস সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী ছাড়া দিনাজপুর জেলায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ৪২ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৮ হতে ২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সেচ সুবিধার জন্য পল্লী বিদ্যুত সমিতিকে দিতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত দিয়ে মেটানো হচ্ছে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। যা এক কথায় সুকঠিন। বিদ্যুতের মোট চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় শিল্প, কল- কারখানা চালানো, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা, অফিস আদালতের কাজকর্মসবই লাটে উঠতে বসেছে। তবে অপরিকল্পিত ভাবে যেমনি বেরেই চলছে অটো-চার্জার ,ইজিবাইক তেমনি  থেমে নেই ইয়ারকুলার ব্যবহার।

বিত্তবানদের বাড়ী এবং সরকারী অফিসের কর্মকর্তার চেম্বারে চলছে অবাধে ইয়ারকুলার। এতে বিদ্যুতও ব্যায় হচ্ছে বেশী।ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিদ্যুতের এঅবস্থা চলতে থাকলে তাদের এবারের জীবন রক্ষা ও সামনে আমন আবাদ কি হবে আল্লাই জানেন। দিনে তাপদাহ আর রাতে অসহ্য গরম। দিনে ১৪-১৬ ঘন্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে। কি করে চলবে সব কাজ কর্ম। ধ্বস নামবে সর্বক্ষেত্রে। সরকারী মতে বিদ্যুতের সংকট নেই। কিন্তু দিনাজপুরবাসী বিদ্যুতের চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে।