নরসিংদীতে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান হিসাব রক্ষকের দূর্নীতির প্রতিবাদে কর্ম-বিরতি ও মানববন্ধন

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান হিসাব রক্ষকের দূর্নীতির প্রতিবাদে একই দপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মাষ্টার-রোলের কর্মরত-কর্মচারীদের এক কর্ম বিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মাষ্টার-রোলের কর্মরত-কর্মচারীরা নরসিংদী এলজিইডি ভবনের প্রধান ফটক বন্ধ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী কর্ম বিরতি ও মানববন্ধন’র ফলে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। অনুষ্ঠিত কর্ম-বিরতি ও মানববন্ধনে জেলার ৬টি উপজেলা পর্যায়ের মাষ্টার-রোলে কর্মরত-কর্মচারীরা নরসিংদী এলজিইডি ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এ কর্ম বিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

কর্ম-বিরতি ও মানববন্ধনকালে এলজিইডি’র কার্যালয়াধীন কর্মরত রোলার ড্রাইভার আঃ গফুর, এয়াকুব ড্রাইভার, ল্যাব পিয়ন সুমন, ল্যাব সহকারী নান্নু, কম্পিউটার অপারেটর খাদিজা আক্তারসহ কর্মচারীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান হিসাব রক্ষকের দূর্নীতির প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিগত ৭/৮ মাস যাবৎ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফজ্লে রাব্বি ও হিসাব রক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এবং উচ্চমান সহকারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম’র যোগ- সাজসে এলজিইডি মাষ্টার-রোলের কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে আতœসাত করার পায়তারা করছে।

দীর্ঘদিন যাবত কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতীব-মানবেতর জীবন যাপন চালিয়ে আসছে। ভূক্ত-ভোগী কর্মচারীরা উপায়ন্তর না দেখে বেতনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কর্মচারীরা প্রবল ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে বলেন, প্রতিমাসের ২২ কর্মদিবসের পরিবর্তে মাত্র ৮/১০ দিনের বেতন দিয়ে বাকী কার্য-দিবসের বেতনের টাকা আত্মসাত করার প্রত্যয়ে তালবাহানা চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে কর্মচারীরা দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।
অবস্থা বেগতিক দেখে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ মানববন্ধনকারীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তীতে মানববন্ধনকারীরা তাদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা চালানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অপরদিকে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও হিসাব রক্ষক তোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও মাষ্টার-রোলে কর্মরত-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন।