নরসিংদীতে চম্পা বেগম অপহরণের ১৯ দিন অতিবাহিতঃ মুক্তিপণের দাবী অন্যথায় প্রাণনাশ

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ  নরসিংদীতে দুই সন্তানের জননী চম্পা বেগম নামের এক গৃহবধূকে অপহরণের ১৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ডিবি পরিচয়ে অপহরণকারীচক্র মুক্তিপণসহ তার স্বামী মোমেনকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকিসহ প্রাণনাশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসার এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে। অপহরণকারী চক্রের সদস্য বিগত সময়ের ন্যায় ১৮ জুন রোববার প্রায় ১১টায় ডিবি পরিচয়ে মুঠো ফোন- ০১৭০৫১১০১৭৮ থেকে ০১৭৮৪৬৬০৭৬২ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে সর্বশেষ হুমকি প্রদান করা হয়।

গত ১৫ জুন বৃহঃবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় বৃহত্তর সিলেট জেলার রানীকোর্ট এলাকার আব্দুল হক এর কন্যা ফেরদৌসী বেগম নামের এক অপহরণকারী উপরোক্ত একই নাম্বার থেকে ০১৭৭০৩০০৭৩৯ নম্বরে ফোন করে অনুরুপ কায়দায় মুক্তিপণসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়।

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলীয় কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের আবুল হাশেম এর পুত্র অপহৃতার স্বামী মোঃ মোমেন মিয়া জেলা শহরের চৌহালা মহল্লায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মনির মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পাওয়ারলুম মালিক মোহাম্মদ আলীর আওতায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।

গত ১৯ দিন পূর্বে ২৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহৃতার স্বামী মোমেন মিয়ার চৌহালা ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার স্ত্রী চম্পা বেগম পিত্রালয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে ফেরদৌসী বেগমের তত্ত্বাবধানে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। গত ৭ জুন ডিবি পরিচয়ে এক অজ্ঞাতনামা পুরুষ ০১৭২১৬৭৫৬৩৪ নম্বর থেকে অপহৃতার স্বামী মোমেন মিয়ার মুঠোফোন ০১৭৭০৩০০৭৩৯ নম্বরে সর্বপ্রথম ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে নির্ধারিত স্থানে যেয়ে স্বামী মোমেন ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।

অবশেষে অপহৃতার স্বামী পাওয়ারলুম শ্রমিক মোমেন মিয়া তার স্ত্রী ২ সন্তানের জননী চম্পা বেগমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম বরাবরে ১৮ জুন তারিখে এক অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অপরদিকে বিগত ৫/৬ মাস পূর্বে নরসিংদীর একই এলাকার হান্নান নামের এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে অনুরুপ কৌশলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে সিলেট থেকে ফেরদৌসী বেগমের নিকট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়।